কিশোরী প্রেমিকাকে দিল্লির রাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করেছেন সাহিল। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লির রাস্তায় প্রকাশ্যেই কিশোরী প্রেমিকাকে কুপিয়ে খুন করেছেন সাহিল। সেই খুনের দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। তার পর সোমবার উত্তরপ্রদেশ থেকে সাহিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের সামনে খুন, খুনের কারণ, পরিকল্পনা নিয়ে অকপটে কথা বলেছেন তিনি।
পুলিশের দাবি, সাহিল এই খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, খুনের জন্য তাঁর কোনও অনুতাপ নেই। কেন এত নৃশংস ভাবে মারলেন প্রেমিকাকে? সাহিল জানান, বিচ্ছেদের কথা বলেছিলেন কিশোরী। সেই রাগ থেকেই খুন করেছেন।
সাহিলের প্রেমিকার বয়স ১৬ বছর। তাঁরা ২০২১ সাল থেকে পরস্পরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। সাহিলের দাবি, সম্প্রতি সম্পর্ক ভাঙার কথা বলেছিলেন কিশোরী। শুধু তা-ই নয়, সাহিলের সন্দেহ হয়েছিল, সে আবার তার পুরনো প্রেমিকের কাছে ফিরে গিয়েছে।
কিশোরীর হাতে ‘প্রবীণ’ নামের একটি উল্কি পাওয়া গিয়েছে। প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে নাকি যোগাযোগও করেছিল সে। সাহিলকে হুমকি দিয়েছিল, ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলে সে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবে। এমনকি, পুলিশ জানিয়েছে, সাহিলকে কিছু দিন আগে একটি নকল পিস্তল দিয়ে ভয়ও দেখিয়েছিলেন তাঁর প্রেমিকা।
পুলিশের ধারণা, কিশোরীর হাতে যে যুবকের নামে উল্কি করা ছিল, তাঁকে নিয়েও সাহিলের সঙ্গে তার ঝামেলা হত। সব রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে রবিবার। ছুরি দিয়ে কিশোরীকে নৃশংস ভাবে কোপান সাহিল। অন্তত ২০ বার তাঁকে কোপ মারা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। কিশোরীর শরীরে ৩৪টির বেশি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। কোপানোর পর তার মাথা ভারী সিমেন্টের স্ল্যাব দিয়ে থেঁতলেও দেওয়া হয়। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। যা দেখে সিউরে উঠেছেন অনেকে। ওই ফুটেজে দেখা যায়, রাস্তায় অনেকেই খুনের ঘটনা দেখেছিলেন। কিন্তু কেউ সাহিলকে বাধা দেননি। পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছেন সকলেই। কিশোরীর দেহ রাস্তার ধারে অন্তত ২৫ মিনিট পড়ে ছিল। তার পর পুলিশ ডাকা হয়।
সোমবার উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলশহর থেকে সাহিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি।