Supreme Court

কেজরীদের হাতেই থাকবে প্রশাসনিক ক্ষমতা, কেন্দ্র-দিল্লি সরকার দ্বন্দ্বে রায় সুপ্রিম কোর্টের

শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, ‘জনগণের ইচ্ছা’কে বাস্তবায়িত করার জন্যই নির্বাচিত করা হয় একটা সরকারকে। তাই প্রশাসনিক সমস্ত কাজেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লির সরকার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৩ ১২:৫৪
Delhi govt ought to have control over administration, Supreme Court says d

কেজরীওয়ালদের হাতেই থাকবে প্রশাসনিক ক্ষমতা, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

দিল্লিতে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র মুখ্যমন্ত্রী হবেন, না কি লেফটেন্যান্ট গভর্নর (উপরাজ্যপাল), তা নিয়ে বহু দিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দিল প্রশাসনিক সমস্ত ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতেই থাকবে। শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত দিল্লির আপ সরকারের কাছে স্বস্তিদায়ক হতে চলেছে। বিগত কয়েক বছরে একাধিক বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং উপরাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। কেজরীওয়ালের দল অভিযোগ করেছিল যে, উপরাজ্যপালের মাধ্যমে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র।

বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিত বেঞ্চ সর্বসম্মত ভাবে তাদের সিদ্ধান্ত জানায়। আদালতের তরফে জানানো হয়, ‘জনগণের ইচ্ছা’কে বাস্তবায়িত করার জন্যই নির্বাচিত করা হয় একটা সরকারকে। তাই প্রশাসনিক সমস্ত কাজেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। পক্ষান্তরে সরকারের নির্দেশ মেনে চলবেন উপরাজ্যপাল। প্রধান বিচারপতি রায়টি পড়ে শোনানোর সময় বলেন, “যদি আধিকারিকেরা মন্ত্রীদের কাছে তাঁদের কাজের ব্যাখ্যা না দেন, তবে তো যৌথ দায়িত্বের যে নীতি, তা-ই লঙ্ঘিত হবে।” তবে প্রয়োজনে উপরাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভাকে পরামর্শ দিতে পারেন বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ক্ষমতার রাশ নির্বাচিত সরকারের হাতে থাকবে, না কি উপরাজ্যপালের মাধ্যমে শেষ কথা বলবে কেন্দ্রই, তা নিয়ে বিতর্ক বহু দিনের। অন্যান্য রাজ্য সরকারগুলি সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পেলেও, দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় এই নিয়ম প্রযোজ্য হয় না। সাম্প্রতিক কালে দিল্লির আপ সরকারের সঙ্গে উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার একাধিক বিষয়ে মতান্তর হয়েছে। উপরাজ্যপালের মাধ্যমে সরকারের কাজে নাক গলানোর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। গত ১৮ জানুয়ারি এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রায়দান স্থগিত রেখেছিল। সে সময় প্রায় সাড়ে চার দিন ধরে সওয়াল-জবাব পর্ব চলে।

আরও পড়ুন
Advertisement