মল্লিকার্জুন খড়্গে (বাঁ দিকে) এবং নির্মলা সীতারামন। ছবি: পিটিআই।
লোকসভার পাশাপাশি মহিলা সংরক্ষণ বিল ঘিরে মঙ্গলবার বিতর্ক ছড়াল রাজ্যসভাতেও। কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের একটি মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে।
লোকসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় এক তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের জন্য মঙ্গলবার পুরোদস্তুর নতুন বিল এনেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। যার পোশাকি নাম, ‘নারী শক্তি বন্ধন’ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল ১২৮তম সংবিধান সংশোধনী বিল হিসাবে তা লোকসভায় পেশ করেন। খড়্গে তাঁর বক্তৃতায় মহিলা বিল পেশের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘২০১০ সালে মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মহিলা সংরক্ষণ বিল সংসদের এই কক্ষে পাশ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এরা (মোদী সরকার) আমাদের কৃতিত্ব দিতে চায় না।’’
মহিলা বিল পেশের পর লোকসভায় মঙ্গলবার একই কথা বলেছিলেন কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। ‘জবাবে’ মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘সেই সরকারের আর অস্তিত্ব নেই। বিলটির মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে।’’ শাহের দাবি, রাজ্যসভায় কোনও বিল পাশের পর যদি সংশ্লিষ্ট লোকসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, তবে বিলটির কার্যকরিতা বহাল থাকে না। রাজ্যসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে খড়্গে বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলগুলির দুর্বল মহিলাদের বেছে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। যাঁরা শিক্ষিত এবং রাজনৈতিক সংগ্রামে অংশ নেওয়ার যোগ্য তাঁরা সুযোগ পান না।’’
তফসিলি জাতি-জনজাতির মহিলাদের শিক্ষার হার কম থাকার কারণে তাঁদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। খড়্গের অভিযোগ খারিজ করে নির্মলা বলেন, ‘‘দুর্বল মহিলারা রাজনীতিতে সুযোগ পান বলে বিরোধী দলনেতা যে মন্তব্য করেছেন, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করছেন। আমাদের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এক জন শক্তিশালী নেত্রী।’’