রাহুল গান্ধী এবং অশোক গহলৌত। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচিত হলে অশোক গহলৌতকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হতে পারে। বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে এ বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। ভারত জোড়ো যাত্রা উপলক্ষে কেরলের কোচিতে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেন, ‘‘উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, আশা করি তা রক্ষা করা হবে।’’
চলতি বছরের মে মাসে গহলৌতের রাজ্যে আয়োজিত ওই চিন্তন শিবিরে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি গ্রহণ করেছিল কংগ্রেস। রাহুল সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে আদতে সচিন পাইলটকেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে চেয়ে বার্তা দিয়েছেন বলে দলের অন্দরের একাংশের মত।
কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচিত হলে গহলৌত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ আঁকড়ে থাকবেন কি না, তা নিয়ে দলের অন্দরে মতভেদ রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন গহলৌত। সেখানে অধিকাংশ বিধায়কই তাঁর প্রতি সমর্থন জানান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন গহলৌতের বিরোধী হিসাবে পরিচিত বিধায়ক তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী পাইলট। তিনি তখন দক্ষিণ ভারতে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য়।
এর পর বুধবার রাতে দিল্লি এসে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন গহলৌত। দলীয় সূত্রে খবর, গহলৌতের উদ্দেশ্যে কংগ্রেস সভানেত্রী বার্তা দিয়েছেন, আগে সভাপতি নির্বাচন, তার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, মুখ্যমন্ত্রিত্ব থাকা, না-থাকা নিয়ে। দিল্লিতে সনিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে গহলৌত বলেন, ‘‘কেউ মন্ত্রী থেকেও কংগ্রেস সভাপতি হতে পারেন। এক ব্যক্তি, এক পদ-এর নীতি শুধুমাত্র মনোনীত পদের ক্ষেত্রেই খাটে। সভাপতি নির্বাচনে যে কোনও মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।’’
সেই সঙ্গে মন্তব্য তিনি করেন, ‘‘একটা, দুটো কেন, এক সঙ্গে তিনটি পদ সামলাতে পারি।’’ এই পরিস্থিতিতে একান্তই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হলে গহলৌত জয়পুরে কুর্সিতে তাঁর আস্থাভাজন কাউকে চাইবেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি। পাইলটের বিষয়ে আপত্তির কথা বুধবারই তিনি সনিয়াকে জানিয়ে দিয়েছেন বলে ওই সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, বুধবার গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ জানিয়েছিলেন, গহলৌত সভাপতি নির্বাচিত হলে উদয়পুরের সিদ্ধান্ত মেনে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে।