প্রতীকী ছবি
মাছ ধরতে অন্যান্য মৎস্যজীবীদের সঙ্গে তিনিও পাড়ি দিয়েছিলেন সমুদ্রে। কিন্তু বাকিরা ফিরতে পারলেও ওই ভারতীয় মৎস্যজীবী পারেননি। ঢুকে পড়েন পড়শি দেশ পাকিস্তানের জলসীমানায়। পাক এজেন্সির হাতে ধরা পড়ার পর ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে করাচির জেলেই বন্দি ছিলেন তিনি। মার্চ মাসে জেলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রায় দেড় মাস কেটে গিয়েছে এখনও ওই মৎস্যজীবীর দেহ ভারতে আনা যায়নি। অবশেষে পাকিস্তান থেকে তাঁর দেহ নিজের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে বলে খবর।
মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার গোরাটপোড়া গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মণ কোলে। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে মাছ ধরতে গিয়ে বিপদে পড়েন বছর ৪৫-এর ওই মৎস্যজীবী। বুঝতে না পেরে নৌকা নিয়ে ঢুকে পড়েন পাকিস্তানের জলসীমানায়। পাক এজেন্সির নৌকা-সহ তাঁকে আটক করে। তার পর গ্রেফতার হন তিনি। হাজার অনুনয় বিনয় কোনও কাজ দেয়নি। এমনকি, পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
লক্ষ্মণের ঠাঁই হয় করাচি জেলের এক ছোট্ট খুপড়িতে। গত ৮ মার্চ জেলের মধ্যেই পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ মার্চ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ভারতীয় বন্দিদের জন্য কাজ করা এক সংগঠনের প্রতিনিধি যতীন দেশাই জানান, করাচি জেলে বন্দি অন্য ভারতীয়রাই লক্ষ্মণের মৃত্যুর খবর তাঁর পরিবারের কাছে পৌঁছে দেন।
লক্ষ্মণের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। কী ভাবে তাঁর দেহ বাড়ি ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে চিন্তায় পড়েন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে তাঁরা স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি বিষয়টি সরকারকে জানান। যতীনের কথায়, দেহ ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিয়মের গেরোয় আটকে রয়েছে। তবে চেষ্টা চলছে। অবশেষে জট কেটেছে। দেহ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাকিস্তান থেকে প্রথমে অমৃতসরে আনা হবে লক্ষ্মণের দেহ। তার পর মুম্বই হয়ে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছনো হবে।