ধারাবাহিক ভাঙনের মধ্যেই কর্নাটকে তৃতীয় প্রার্থিতালিকা বিজেপির। ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিতেই কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে তৃতীয় প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। এই দফায় ১০টি কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করেছে পদ্মশিবির। ছ’বারের বিধায়ক শেট্টারের হুবলি-ধারওয়াড় সেন্ট্রাল কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয়েছে তুলনায় অপরিচিত মহেশ তেঙ্গিনকাইকে।
বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করে রবিবারই বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন শেট্টার। সোমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘হাত’-পতাকা ধরেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের আগে লিঙ্গায়েত জনগোষ্ঠীর প্রভাবশালী নেতা, হুবলি-ধারওয়াড় কেন্দ্রের ৬ বারের বিধায়ক জগদীশের দলবদল কংগ্রেসকে সুবিধা দিতে পারে বলে মনে করছেন ভোট পণ্ডিতদের একাংশ।
আগামী ১০ মে ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভার ভোটগ্রহণ। গণনা ১৩ মে। এখনও শেট্টারের কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেনি কংগ্রেস। সেখানে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই ‘হাত’ প্রতীক পেতে পারেন বলে জল্পনা। প্রসঙ্গত, বিজেপির টিকিট না পেয়ে শুক্রবার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা ৩ বারের বিধায়ক লক্ষ্মণ সড়াভি। লক্ষ্মণকে তাঁর পুরনো কেন্দ্র বেলগাভী জেলার অথানিতে টিকিট দিয়েছে কংগ্রেস। উত্তর কর্নাটকের প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা লক্ষ্মণ কর্নাটক বিজেপির অন্দরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ‘বিএস ইয়েদুরাপ্পার ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত ছিলেন। অন্য দিকে, জগদীশের পরিচতি ‘ইয়েদুরাপ্পা বিরোধী’ হিসাবে।
তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকায় মহাদেবপুরার প্রভাবশালী বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাবলীর নাম নেই। তবে তাঁর স্ত্রী মঞ্জুলাকে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রথম দফায় ১৮৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। তাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা, প্রাক্তন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী কে এশ্বরাপ্পা ও লক্ষ্মণ, মন্ত্রী এস অঙ্গারা, আনন্দ সিংহ-সহ ১০ জন বিধায়ককে ছেঁটে ফেলা হয় (তবে ইয়েদুরাপ্পার আসনে টিকিট দেওয়া হয় তাঁর ছেলেকে)। অন্য দিকে, কংগ্রেস এবং জেডি (এস) ছেড়ে আসা প্রায় এক ডজন বিধায়ক পদ্ম চিহ্ন পান।
বুধবার রাতে দ্বিতীয় দফায় ২৩ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। তাতে বাদ পড়েন ৭ জন বিদায়ী বিধায়ক! প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী এশ্বরাপ্পা এবং অঙ্গারা রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। টিকিট না পেয়ে এমপি কুমারস্বামী, নেহরু ওলেকর, গোলিহত্তি শেখরের মতো প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়করা বৃহস্পতিবার দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। রঘুপতি ভট্ট (উদুপি), সঞ্জীব মতন্দুর (পুত্তুর), এইচ শ্রীনিবাস শেট্টিরাও একই ইঙ্গিত দিয়েছেন।