জ্ঞানবাপীতে মুসলিমদের নমাজের জন্য ওজুর ব্যবস্থা করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
জ্ঞানবাপী মসজিদে মুসলিমদের নমাজের আগে ওজুর (হাত-মুখ ধোয়ার স্থান এবং জলের) ব্যবস্থা করার জন্য বারাণসীর জেলাশাসককে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবারেই এ বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ মে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছিল, জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধারে তথাকথিত শিবলিঙ্গের (মতান্তরে ফোয়ারা) নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দিতে পারে বারাণসীর আদালত। কিন্তু কোনও ভাবেই মসজিদে নমাজ বন্ধ করা যাবে না। সেই অন্তর্বর্তী নির্দেশের সময়সীমা গত ১১ নভেম্বের শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে দিনও সুপ্রিম কোর্ট তা বহাল রেখেছিল।
১৭ মে শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশের আগেই বারাণসী নিম্ন আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকরের এজলাসে আদালত নিযুক্ত কোর্ট কমিশনার এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-এর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত পর্যবেক্ষক দলের সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফি সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল। তাতে তথাকথিত শিবলিঙ্গের অস্তিত্বের কথা বলা হয়। এর পর বিচারক রবিকুমার দিবাকর মসজিদের অন্দরের ওজুখানা ও তহ্খানা সিল করার নির্দেশ দেন।
নির্দেশে বলা হয়, বারাণসীর জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি, সিআরপিএফের এক জন কমান্ড্যান্ট (সুপার) স্তরের আধিকারিককে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা নিম্ন আদালত থেকে বারাণসী জেলা আদালতে স্থানান্তরিত হলেও ওজুখানার তালা খোলা হয়নি। ফলে নমাজের অধিকার পেলেও ওজুর জন্য স্থান এবং জলের অভাব ছিল বলে অভিযোগ ‘অঞ্জুমান ইন্তেজ়ামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’র। বিষয়টি নিয়ে তারা আবেদন জানিয়েছিল শীর্ষ আদালতের কাছে।