একাধিক মানুষ হাতুড়ি নিয়ে গিয়ে অভিযুক্তের বাড়িটি ভেঙে ফেলে। ছবি: টুইটার।
উত্তরপ্রদেশের মতো দাওয়াই মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। তিন বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বাস চালকের বাড়ি ভাঙল স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার ভোপালের শাহপুরা এলাকায় পুলিশের তত্ত্বাবধানে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙা হয়। তবে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, বাড়িটি অবৈধ ভাবে তৈরি করা হয়েছিল। আর সেই কারণেই এই বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে একাধিক মানুষ হাতুড়ি নিয়ে গিয়ে শাহপুরা এলাকার একটি ছোট গলিতে অভিযুক্তের বাড়িটি ভেঙে ফেলে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার স্কুলবাসের মধ্যে ওই নাবালিকা পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বাসের চালকের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় এক জন মহিলা রক্ষীও বাসে উপস্থিত ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ বাস চালক এবং মহিলা রক্ষী, দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুটির বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বাসচালকের বয়স ৩২ বছর। তিনি দুই কন্যাসন্তানের বাবা। মাস দু’য়েক আগে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বাসচালকের কাজ পান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবারই শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। তাতে যৌন হেনস্থার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মেয়েটির মায়ের বয়ান অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে বাসে বাড়ি ফেরার পর মেয়েকে দেখে অবাক হন তিনি। কারণ, যে পোশাক পরে মেয়ে স্কুলে গিয়েছিল, সেটা পরে ফেরেনি। স্কুল ব্যাগে এক সেট জামাকাপড় থাকত তার। সেটা পরে মেয়ে ফিরেছে। জিজ্ঞাসা করায় সে কোনও উত্তর দেয়নি। এর পরই মায়ের সন্দেহ হয়। তিনি স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা জানান, শিশুটি ক্লাসে পোশাক বদল করেনি। এর পর মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে পুরো বিষয়টি বুঝতে পারেন নাবালিকার মা। তখনই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক অভিযুক্তের বাড়ি ‘অবৈধ’ নির্মাণ বলে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।