Baba Siddique Murder Case

সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ১০ দিন পর বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ছক কষে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং!

সিদ্দিকি-খুনে ইতিমধ্যেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের যোগের প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, সলমনের বাড়ির সামনেই গুলি চালানোর পরই বিষ্ণোই গ্যাং ঠিক করে অভিনেতা-ঘনিষ্ঠদের একে একে খতম করবে!

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:০৩
Baba Siddique death plot was hatched 10 days after front of Salman Khan house firing

(বাঁ দিকে) সলমন খান এবং বাবা সিদ্দিকি (ডান দিকে)।

বলিউড অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চলার ঘটনার ১০ দিন পরেই বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ছক কষা হয়েছিল! মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ এপ্রিল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চালায়। তবে সেই গুলিকাণ্ডে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ২৪ এপ্রিলই ঠিক হয় এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দিকিকে খুন করবে তারা!

Advertisement

সিদ্দিকি-খুনে ইতিমধ্যেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের যোগের প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর পরই বিষ্ণোই গ্যাং ঠিক করে, অভিনেতা-ঘনিষ্ঠদের একে একে খতম করবে। সেই তালিকায় প্রথমেই ছিল বাবা সিদ্দিকির নাম। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, সিদ্দিকি খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে একটি অবৈধ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ পদ্ধতি (ডাব্বা কলিং) ব্যবহার করা হয়েছিল। খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত শিবকুমার, জ়িশান আখতার, শুভন লোনকর, সুজিত সিংহদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে লরেন্সের ভাই আনমোল বিষ্ণোই করতেন ডাব্বা কলিং! এই পদ্ধতি ব্যবহার করায় অভিযুক্তদের সঠিক অবস্থান খুঁজে পাওয়ায় সমস্যা হয়েছিল তদন্তকারীদের।

গত ১২ অক্টোবর বান্দ্রায় পুত্রের কার্যালয়ের বাইরে বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে খুন করা হয়। টাকার বিনিময়ে এই কাজটি করেন শিবকুমার-সহ তিন শুটার। তবে, তাঁদের মধ্যে শিবকুমারই প্রধান ছিলেন। গুলি চালানোর পর ভিড়ের মধ্যে মিশে যান শিবকুমার। তবে, তার আগে বন্দুক, পরনের জামা এবং আধার কার্ড— একটি ব্যাগে ভরে ফেলে দেন তিনি।

মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলি চালানোর পর পরই নিজের জামা বদলে ফেলেছিলেন শিবকুমার। এমনকি, কারও যাতে সন্দেহ না হয়, সে জন্য বেশ কিছু ক্ষণ ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ঘোরাফেরাও করেছিলেন। গুলিবিদ্ধ নেতাকে যখন লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখনও শিবকুমার হাসপাতালের বাইরে ভিড়ের মধ্যে মিশে অপেক্ষা করছিলেন। সিদ্দিকির মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরেই এলাকা ছাড়েন অভিযুক্ত। এর পর ঘটনাস্থল থেকে অটোতে চেপে পৌঁছন কুরলা। সেখান থেকে ট্রেনে ঠাণে। ঠাণে থেকে ফের ট্রেন বদলে পুণে। তার পর দীর্ঘ এক মাসের আত্মগোপন!

আরও পড়ুন
Advertisement