মধ্যপ্রদেশের অরণ্যে পর পর মরছে মোদী আনা আফ্রিকান চিতা। ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের আনা আরও একটি আফ্রিকান চিতার মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। গত দেড় মাসের মধ্যে এই নিয়ে সেখানে তৃতীয় চিতার মৃত্যু হল।
মধ্যপ্রদেশ বন দফতর এবং কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ন্যাশনাল চিতা অ্যাকশন প্ল্যান’ (জাতীয় চিতা পুনঃস্থাপন কর্মসূচি) সূত্রের খবর, মৃত মহিলা চিতাটির নাম দক্ষ। তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে, ফিন্ডা নামে একটি পুরুষ চিতার আক্রমণে তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ কুনোয় মৃত্যু হয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা ৫ বছরের স্ত্রী চিতা শাসার। ২৪ এপ্রিল মারা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা পুরুষ চিতা উদয়। মধ্যপ্রদেশ বন বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, কিডনিতে সংক্রমণের কারণে শাসার মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে উদয়ের মৃত্যুর কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, ‘কার্ডিয়ো পালমোনারি ফেলিওর’-কে।
নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ইতিমধ্যেই ২০টি চিতাকে কুনোতে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪টিকে কুনো অরণ্যের প্রাকৃতিক পরিবেশে ছাড়া হয়েছে। কিন্তু গত ২ মাসে ২টি চিতার মৃত্যু হয়েছে সেখানে। মধ্যপ্রদেশের ওই অরণ্যে ৫০টি আফ্রিকার চিতা পুনর্বাসনের পরিকল্পনা রয়েছে মোদী সরকারের। কিন্তু বিশিষ্ট বন্যপ্রাণ বিজ্ঞানী তথা কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের ‘ন্যাশনাল চিতা অ্যাকশন প্ল্যান’-এর সদ্য অপসারিত প্রধান যাদবেন্দ্রনাথ ঝালা স্পষ্ট ভাষায় তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছিলেন, আফ্রিকা থেকে আনা ৫০টি চিতা দূর অস্ত, মধ্যপ্রদেশের কুনো-পালপুর জাতীয় উদ্যানে ২০টির ঠাঁই হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তৃতীয় চিতার মৃত্যু সেই প্রশ্নটাই আরও জোরালো করে দিল মঙ্গলবার।
প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত আফ্রিকা থেকে দু’দফায় চিতা আনা হয়েছে ভারতে। প্রথমে আসে নামিবিয়া থেকে ৮টি চিতা। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে সেই চিতাগুলিকে কুনো পালপুরের জঙ্গলে ছাড়া হয়। খাঁচা উন্মুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। এর পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আরও ১২টি চিতা কুনোয় নিয়ে আসা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে।