Karnataka Assembly Election 2023

সার্বভৌম কর্নাটক! বিজেপি অভিযোগ জানিয়েছিল সনিয়ার বিরুদ্ধে, নির্বাচন কমিশনের নোটিস খড়্গেকে!

পদ্ম-শিবিরের তরফে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল, ভোটের প্রচারে কর্নাটকের সার্বভৌমত্ব রক্ষার মতো অসাংবিধানিক মন্তব্য করেছেন সনিয়া।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৩ ২৩:০৩
Sonia gandhi and Mallikarjun Kharge

সনিয়া গান্ধীর এবং মল্লিকার্জুন খড়্গে। ফাইল চিত্র।

বিজেপির আবেদনে সাড়া দিয়ে কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের প্রচারের শেষ দিনে হাত-শিবিরকে নোটিস পাঠাল নির্বাচন কমিশন। তবে বিজেপির নিশানায় থাকা প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে নয়, তাঁর উত্তরসূরি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে! অন্য দিকে, ভোটের প্রচারে কংগ্রেসকে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দল’ বলায় বিজেপিকে একটি পৃথক নোটিস দিয়েছে কমিশন।

পদ্ম-শিবিরের তরফে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল, ভোটের প্রচারে কর্নাটকের সার্বভৌমত্ব রক্ষার মতো অসাংবিধানিক মন্তব্য করেছেন সনিয়া। তাই আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করা উচিত। ‘সার্বভৌম কর্নাটক বিতর্কে সোমবার কমিশন নোটিস পাঠিয়েছে খড়্গেকে। এ ক্ষেত্রে তাদের ‘হাতিয়ার’ কংগ্রেসের দলীয় টুইটার হ্যান্ডলে সনিয়ার সভা সম্পর্কিত একটি টুইট। তাতে লেখা রয়েছে, ‘‘কংগ্রেস সংসদীয় দলের (সিপিপি) চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীজি সাড়ে ৬ কোটি কন্নড় জনতাকে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন— কংগ্রেস কর্নাটকের সুনাম, সার্বভৌমত্ব বা অখণ্ডতার উপর কাউকে আঘাত হানতে দেবে না।’’

Advertisement

শনিবার কর্নাটকের হুবলি-ধারওয়াড় কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টারের সভায় সনিয়া কন্নড় সংস্কৃতির ইতিহাসের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। সে সময়ই তিনি ‘সার্বভৌমত্ব’ শব্দটি ব্যবহার করেন বলে বিজেপির দাবি। রবিবার কর্নাটকে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এ বিষয়ে নিশানা করেন সনিয়াকে। তিনি বলেন, ‘‘গত কাল গান্ধী পরিবার প্রচারে এসে কর্নাটকের সার্বভৌমত্ব রক্ষার কথা বলেছিলেন। এর অর্থ হল, যখন কোনও দেশ স্বাধীন হয়, তখন সেটিকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। কংগ্রেস নেতারা যা বলছেন, তা ধরলে মেনে নিতে হয়, কর্নাটক আর ভারতের অংশ নয়।’’

এর পরেই ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’-এর সমালোচনার মাধ্যমে পরোক্ষে রাহুল গান্ধীর দিকে আঙুল তুলে মোদী বলেন, ‘‘এর অর্থ, কংগ্রেস প্রকাশ্যে কর্নাটককে ভারত থেকে পৃথক করার কথা বলছে। আমি ভাবতেও পারিনি, ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’-এর প্রভাব এই উচ্চতায় পৌঁছবে।’’ প্রসঙ্গত, অতীতে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া কর্নাটক সরকারের প্রতীক হিসাবে একটি নতুন পতাকাকে স্বীকৃতি দিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। সে সময় বিজেপি ওই উদ্যোগকে ‘অংসাবিধানিক’ বলেছিল। আগামী ১০ মে কর্নাটকের ২২৪টি বিধানসভা আসনেই এক দফায় ভোটগ্রহণ, ১৩ মে গণনা। সোমবারই প্রচারের শেষ দিন।

আরও পড়ুন
Advertisement