Delhi hit and run

মাথার ঘিলু নেই, দেহ নগ্ন হল কী করে, কী বলছে দিল্লির তরুণীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

দিল্লির ২০ বছর বয়সি তরুণী অঞ্জলি সিংহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিল্লি পুলিশের কাছে জমা করা হয়েছে। মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের একটি বোর্ড অঞ্জলির দেহের ময়নাতদন্ত করে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪৬
তরুণীকে কোনও ভাবে যৌন হেনস্থা করা হয়নি বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়।

তরুণীকে কোনও ভাবে যৌন হেনস্থা করা হয়নি বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়। ফাইল চিত্র।

রবিবার মধ্যরাতে ২০ বছরের তরুণী অঞ্জলি সিংহের মৃত্যুর ঘটনায় শিউরে উঠেছেন দিল্লিবাসী। বর্ষবরণের রাতে অঞ্জলিকে গাড়ি চাপা দেওয়ার পর টেনে নিয়ে গিয়েছিল আরও অন্তত ১৩ কিলোমিটার। অঞ্জলির পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অঞ্জলির মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন। মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের একটি বোর্ড অঞ্জলির দেহের ময়নাতদন্ত করে। মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের কাছে জমা করা হয়েছে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে অঞ্জলির মাথার ঘিলু অনুপস্থিত। মাথার খুলি গহ্বরও খোলা অবস্থায় রয়েছে। শিরদাঁড়ার বেশ কয়েকটি জায়গা ভেঙে গিয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর। অঞ্জলির দেহের পাঁজরগুলি বুকের পিছন দিক দিয়ে উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে। আট পাতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, অঞ্জলির সারা দেহ ধুলোমাটিতে মাখা ছিল। দীর্ঘ ক্ষণ গাড়ির নীচে অঞ্জলির দেহ আটকে থাকা অবস্থায় ছিল।

Advertisement

ওই অবস্থায় গাড়িটি কয়েক কিলোমিটার চালানোর ফলে অঞ্জলির দেহে পোড়া দাগ লক্ষ করা গিয়েছে। এই ধরনের পোড়া দাগকে ‘ব্রাশ বার্ন’ বলা হয়। গাড়িটি চলতে থাকায় রাস্তার সঙ্গে অঞ্জলির দেহের চামড়ায় ঘষা লেগে এই পোড়া দাগ তৈরি হয়েছে। সারা দেহে ৪০টি ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। তবে তাঁকে কোনও ভাবে যৌন হেনস্থা করা হয়নি বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে পরীক্ষার জন্য তরুণীর লালারসের নমুনা এবং জিন্‌সের ছেঁড়া অংশ সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে বলে চিকিৎসকদের বোর্ডের তরফে জানানো হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্ত এখনও চলছে।

প্রসঙ্গত, নববর্ষের রাতে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ২০ বছরের এক তরুণী। গাড়ির সঙ্গে তাঁর স্কুটির সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনার জেরে তরুণীর পোশাক গাড়ির চাকায় আটকে যায়। এই অবস্থাতেই ছুটতে থাকে গাড়িটি। যার জেরে গাড়ির চাকায় আটকে যান তরুণী। তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে কয়েক কিমি পর্যন্ত চলে যায় গাড়িটি। দিল্লির খানজাওয়ালা এলাকায় গিয়ে থামে গাড়িটি। বিবস্ত্র অবস্থায় পরে রাস্তায় তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলপুরী এসজিএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পরে তদন্তে নেমে ঘাতক গাড়িতে থাকা চালক ও আরোহীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় অভিযুক্তরা দাবি করেছেন যে, তাঁরা ‘জানতেনই না’ যে, গাড়ির চাকায় আটকে ছিলেন তরুণী।পুলিশ সূত্রে খবর, পরে অভিযুক্তরা ‘বুঝতে পারেন’ যে গাড়ির চাকায় কিছু একটা আটকে রয়েছে। কয়েক কিলোমিটার রাস্তা যাওয়ার পর তাঁরা গাড়ি থেকে নেমে দেখেন চাকায় আটকে রয়েছেন এক তরুণী। এর পর চাকা থেকে তরুণীর দেহ সরিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা।

আরও পড়ুন
Advertisement