ঘাতক গাড়িতে বসে থাকা পাঁচ জন প্রথমে দাবি করেছিল, তারা নাকি টের পায়নি। ফাইল চিত্র।
রবিবার ভোররাতে তরুণীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার পর টেনে নিয়ে গিয়েছিল আরও ১৩ কিলোমিটার। ঘাতক গাড়িতে বসে থাকা পাঁচ জন প্রথমে দাবি করেছিল, তারা নাকি টের পায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় পাঁচ জন মত্ত ছিলেন। গাড়িতে বসেই মদ্যপান করেছিল। তা ছাড়াও বর্ষবরণের রাতে আরও অনেক কিছু করেছিল তারা। ঠিক কী কী করেছিল, পুলিশি জেরায় উঠে এসেছে সব।
পুলিশ জানিয়েছে, ১ জানুয়ারির রাতে গাড়ি চালানোর সময় প্রায় আড়াই বোতল মদ পান করেছিল ওই পাঁচ জন। রাতটা বিশেষ ভাবে উদ্যাপন করতে চেয়েছিল তারা। সে কারণে হরিয়ানার মুরথালের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল প্রথমে। সেখানে একাধিক ধাবা রয়েছে। সেই ধাবায় খাওয়াদাওয়া করাই উদ্দেশ্য ছিল পাঁচ জনের। পুলিশ সূত্রের খবর, বর্ষবরণের রাতে মুরথালের ধাবায় গাড়ি রাখার জায়গা পায়নি তারা। তাই উত্তর পশ্চিম দিল্লির যে জায়গায় তারা থাকে, সে দিকে রওনা হয়। রিপোর্ট বলছে, রাস্তার ধারে কোথাও খেয়েছিল পাঁচ জন। তার পর মদ্যপান করে রাস্তাতেই ঘুরে বেড়াচ্ছিল। রাত ২টো নাগাদ সুলতানপুরীতে অঞ্জলি সিংহ নামে ওই তরুণীর স্কুটিতে ধাক্কা দেয় গাড়িটি।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িতে থাকা পাঁচ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্কুটিতে যখন ধাক্কা দেয় মারুতি ব্যালেনো গাড়ি, তখন অঞ্জলির সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বন্ধু নিধি। নিধি ঘটনাস্থল থেকে সরে যান। যদিও গাড়িতে আটকে পড়ে ২০ বছরের অঞ্জলির পা। পুলিশ জানিয়েছে, নিধি এখন ওই ঘটনার অন্যতম প্রধান সাক্ষী।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ি চালাচ্ছিল দীপক। পাশে বসেছিল মিঠুন। পিছনে ছিল তিন জন। গাড়িটি আশুতোষ নামে এক যুবক তাঁর বন্ধু অমিত এবং দীপককে চালানোর জন্য দিয়েছিলেন। গাড়ির আসল মালিক লোকেশ। তাঁর কাছ থেকেই গাড়িটি বন্ধুদের জন্য নিয়েছিলেন আশুতোষ। অভিযুক্তদের মধ্যে মনোজ স্থানীয় বিজেপি নেতা বলে দাবি করেছে আপ। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক কিলোমিটার গাড়ি ছুটিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর একটা জায়গায় মোড় নিতেই গাড়ির নীচে আটকে থাকা একটি হাত দেখতে পেয়েছিল পিছনের আসনে বসে থাকা মিঠুন। তত ক্ষণে তারা খাঞ্জাওয়ালার জন্টি গ্রামের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। সেখানেই গাড়ি থেকে নামে অভিযুক্তেরা। অঞ্জলির তালগোল পাকানো দেহ ফেলে রেখে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। তার পর গাড়িটি আশুতোষকে ফেরত দিয়ে আসে। জন্টি গ্রামের কাছে অঞ্জলির নগ্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।