গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আম আদমি পার্টি (আপ), কংগ্রেসের পরে এ বার দিল্লির বিধানসভা ভোটে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। শনিবার প্রথম দফায় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টিতে প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
নয়াদিল্লি আসনে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাহিব সিংহ বর্মার পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ প্রবেশকে। ওই আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী করেছে আর এক প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপকে। কালকাজি কেন্দ্রে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনার বিরুদ্ধে বিজেপির টিকিটে লড়বেন আর এক প্রাক্তন সাংসদ রমেশ বিধুরি। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী প্রাক্তন আপ বিধায়ক অলকা লাম্বা।
দুই দলত্যাগী, প্রাক্তন আপ মন্ত্রী রাজকুমার আনন্দ (পটেল নগর) এবং কৈলাস গহলৌতকেও (বীজওয়াসাঁ) টিকিট দিয়েছে বিজেপি। আর এক দলত্যাগী, দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অরবিন্দর সিংহ লভলীকে গান্ধীনগর আসনে টিকিট দেওয়ার জন্য ছাঁটাই করা হয়েছে বিদায়ী বিধায়ক অনিল বাজপেয়ীকে। দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সতীশ উপাধ্যায় (মালবীয় নগর), প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা বীজেন্দ্র গুপ্তের (রোহিণী) মতো প্রবীণ নেতারাও লড়বেন এ বারের বিধানসভা ভোটে।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ফেব্রুয়ারি মাসে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা থাকলেও এখনও নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি। আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটার তালিকা সংশোধন, পরিমার্জনের কাজ চলবে সেখানে। তার পরেই ঘোষণা করা হবে ভোটের নির্ঘণ্ট। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, ভোটের আগে মোদীকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি উদ্বোধনের সুযোগ করে দিতেই ভোট ঘোষণায় বিলম্ব করা হচ্ছে। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল আপ। বিজেপি পেয়েছিল আটটি আসন। আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কেজরী সাড়ে ন’বছর মুখ্যমন্ত্রিত্ব সামলানোর পরে গত সেপ্টেম্বরে ইস্তফা দেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন আতিশী।