ওয়েবসিরিজ ডেক্সটার দেখে লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে খুনের পরিকল্পনা করেন আফতাব। ছবি: সংগৃহীত।
আমেরিকার জনপ্রিয় অপরাধমূলক ওয়েবসিরিজ ডেক্সটার দেখে লিভ-ইন সঙ্গীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। আর খুনের পর ‘প্রমাণ লোপাট’? দিল্লির মেহরৌলি হত্যাকাণ্ডে ধৃত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা সাহায্য নিয়েছিলেন সার্চ ইঞ্জিন গুগ্লের!
দিল্লি পুলিশের দাবি, গুগ্ল করে মানবদেহ টুকরো করে কাটা এবং রক্তের দাগ পরিষ্কারের পদ্ধতি খুঁজেছিলেন আফতাব। সোমবার রাতে ধৃতের ‘গুগ্ল করার পরিসংখ্যান’ও প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের তরফে। তবে শুধু ডেক্সটার নয়, লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়ালকরকের খুনের আগে আফতাব একাধিক অপরাধমূলক ছবি ও ওয়েবসিরিজ দেখে পরিকল্পনা কষেছিলেন বলে তদন্তকারী দলের সদস্যেরা মনে করছে। তাঁদেরই এক জন জানিয়েছেন, এই চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক ছবি ও ওয়েবসিরিজের ‘ছায়া’ দেখা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ছ’মাস আগে ২৭ বছরের লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে ২৮ বছরের আফতাব খুন করেন বলে অভিযোগ। এর পর প্রেমিকার দেহ ৩৫ টুকরো করেছিলেন তিনি। তার পর দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সেই টুকরোগুলি। টুকরোগুলির পচন এড়ানোর জন্য নতুন একটি ফ্রিজও কিনে ফেলেছিলেন আফতাব। শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার গ্রেফতার হন আফতাব। তাঁকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, অপরাধ নিয়ে সিরিজ ‘ডেক্সটার’ দেখতেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, আফতাব এবং শ্রদ্ধা দু’জনেই আদতে মুম্বইয়ের বাসিন্দা। একটি কল সেন্টারে কাজ করার সময় ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয় দু’জনের। দক্ষিণ দিল্লির অতিরিক্ত ডিসিপি অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, তিন বছর আগে এক সঙ্গে থাকতে শুরু করেন আফতাব এবং শ্রদ্ধা। এর পরেই মুম্বই ছেড়ে দিল্লি চলে যান। তার কিছু দিন পর থেকে বিয়ের জন্য আফতাবকে চাপ দিতে শুরু করেন শ্রদ্ধা। কিন্তু আফতাব তাতে রাজি ছিলেন না। সেই নিয়ে রোজই চলত ঝামেলা। গত ১৮ মে তুমুল ঝগড়া বাধে দু’জনের। সে সময় শ্রদ্ধাকে গলা টিপে আফতাব খুন করেন বলে পুলিশের দাবি।