Delhi Murder

‘বাঁচাও, নয়তো আফতাব খুন করবে’, এক রাতে বন্ধুকে মেসেজ করেছিলেন আতঙ্কিত শ্রদ্ধা

মেসেজ দেখে আর বসে থাকতে পারেননি লক্ষ্মণ। আরও কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে ছাতারপুরে শ্রদ্ধার ফ্ল্যাটে যান তিনি। সে বার রীতিমতো শাসিয়ে এসেছিলেন আফতাবকে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২২ ২১:৪৯
অভিযোগ, শ্রদ্ধাকে মেরে দেহের ৩৫টি টুকরো করেছিলেন আফতাব।

অভিযোগ, শ্রদ্ধাকে মেরে দেহের ৩৫টি টুকরো করেছিলেন আফতাব। — ফাইল ছবি।

উদ্ধার করে না নিয়ে গেলে মেরে ফেলবে প্রেমিক আফতাব। বন্ধুকে এক রাতে মেসেজ করে জানিয়েছিলেন শ্রদ্ধা ওয়ালকার। সেই রাতে বন্ধু এসে উদ্ধার করলেও পরে আর পারেননি। আফতাব আমিন পুনাওয়ালার হাতে শ্রদ্ধা খুন হন বলে অভিযোগ। গলা টিপে খুনের পর প্রেমিকার দেহ ৩৫ টুকরো করে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় আফতাব ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বলে তদন্তে জেনেছে পুলিশ।

শ্রদ্ধার সেই বন্ধু লক্ষ্মণ নাদার একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রায়ই আফতাবের সঙ্গে ঝামেলা হত তাঁর। লক্ষ্মণের কথায়, ‘‘এক রাতে হোয়াটসঅ্যাপে শ্রদ্ধা ওঁকে উদ্ধার করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ওই রাতে আফতাবের সঙ্গে থাকলে ওঁকে খুন করে ফেলবেন তিনি।’’ দেখে আর বসে থাকতে পারেননি লক্ষ্মণ। আরও কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে ছাতারপুরে শ্রদ্ধার ফ্ল্যাটে যান তিনি। সে বার রীতিমতো শাসিয়ে এসেছিলেন আফতাবকে। জানিয়েছিলেন থানায় যাবেন। কিন্তু যাননি। লক্ষ্মণ বলেন, ‘‘শ্রদ্ধার কথা ভেবেই থানায় যাইনি।’’

Advertisement

পরে প্রায় দু’মাস ধরে কোনও যোগাযোগ করেননি শ্রদ্ধা। তখনই চিন্তায় পড়েন লক্ষ্মণ। অবশেষে, সেপ্টেম্বরে শ্রদ্ধার পরিবারকে লক্ষ্মণ জানান, আগের আড়াই মাস ধরে কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর। এমনকি তাঁর মোবাইলও সুইচড অফ। এর পরেই শ্রদ্ধার পরিবার সমাজমাধ্যমে তাঁর অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেন। দেখা যায়, আগের আড়াই মাস কোনও পোস্ট দেননি তিনি।

নভেম্বরে শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকার মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ হন। আফতাবের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কের কথাও জানান। এর পরেই মুম্বই পুলিশ শ্রদ্ধার ফোনের তথ্য খতিয়ে জানতে পারেন, দিল্লিতে গিয়েছিলেন তিনি। তদন্তভার হাতে নেয় দিল্লি পুলিশ। শনিবার ধরা পড়েন আফতাব। জেরায় স্বীকার করেন, বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলেই শ্রদ্ধাকে খুন করেছেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার দেহের ৩৫টি টুকরো করেছিলেন আফতাব। এর পর একটি ফ্রিজ কিনে আনেন তিনি। সেখানেই ভরে রাখেন দেহের টুকরো। পরের ১৮ দিন ধরে রাতের অন্ধকারে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেহের টুকরো আফতাব ফেলে আসতেন বলে অভিযোগ।

সূত্রের খবর, যেই ঘরে খুন করে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করেছিলেন, সেখানেই রোজ রাতে ঘুমোতেন আফতাব। রোজ রাতে ফ্রিজে রাখা শ্রদ্ধার মুখ দেখতেন। দেহের সব টুকরো ফেলে দেওয়ার পর ফ্রিজটি ধুয়েমুছেও রেখেছিলেন আফতাব। আরও জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার আগে আরও অনেক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আফতাবের।

আরও পড়ুন
Advertisement