Road Accident

এলাকা কার! চার ঘণ্টা ধরে দায় ঠেলাঠেলি দুই রাজ্যের পুলিশের, দুর্ঘটনার পরে পড়েই রইল দেহ

দুর্ঘটনার পর প্রায় চার ঘণ্টা ধরে দেহ রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধার করা হয়নি। নেপথ্যে দুই রাজ্যের পুলিশের দায় ঠেলাঠেলি। স্থানীয়েরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালে দেহ উদ্ধার করা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:২৮
দুর্ঘটনায় মৃত রাহুল আহিরওয়ার।

দুর্ঘটনায় মৃত রাহুল আহিরওয়ার। ছবি: সংগৃহীত।

রাস্তা পেরোনোর সময় পিষে দিয়েছিল গাড়ি। দুর্ঘটনার পর প্রায় চার ঘণ্টা ধরে দেহ রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধার করা হয়নি। নেপথ্যে দুই রাজ্যের পুলিশের দায় ঠেলাঠেলি। শেষমেশ স্থানীয়েরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকলে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের সীমানায়।

Advertisement

দিল্লির বাসিন্দা রাহুল আহিরওয়ার নামের এক ব্যক্তি রাস্তা পেরোনোর সময় দ্রুত বেগে ছুটে চলা একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মেরে পিষে দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ঘাতক গাড়ির সন্ধান মেলেনি। দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে ছিল রাহুলের দেহ। প্রথমে স্থানীয়েরা মধ্যপ্রদেশের হরপালপুল থানায় খবর দেন। কিন্তু ওই থানার পুলিশ আধিকারিকেরা এসে জানান, এলাকাটি উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলার মাহোবকান্ত থানার আওতাধীন। তাই এ ক্ষেত্রে তাঁদের করণীয় কিছু নেই।

তার পর স্থানীয়রা খবর দেন উত্তরপ্রদেশের ওই থানায়। সেখান থেকে পুলিশ আসে। সেই থানার পুলিশ আধিকারিকেরা আবার দাবি করেন যে, এলাকাটি মধ্যপ্রদেশ পুলিশ আওতাধীন। তাঁরাও দেহ উদ্ধার না-করে ফিরে যান। দুই রাজ্যের পুলিশের দায় ঠেলাঠেলি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়েরা। রাস্তা অবরোধ শুরু হয়। তাঁরা বলেন, দেহ উদ্ধার না-হলে তাঁরা অবরোধ তুলবেন না। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

মৃতের পরিবার জানায়, সকাল ৭টায় দুর্ঘটনা ঘটলেও ১১টা পর্যন্ত দেহ রাস্তায় পড়ে ছিল। পরিবারের এক সদস্যের কথায়, “এলাকাটি মধ্যপ্রদেশ পুলিশের আওতাধীন। তার পরেও মধ্যপ্রদেশ পুলিশের এক আধিকারিক ধমক দিয়ে আমাদের বলেন, এলাকাটি তাঁদের থানার আওতাধীন নয়।”

Advertisement
আরও পড়ুন