NCERT

‘একতরফা ভাবে পাঠ্যসূচি বদলানো হচ্ছে’! অভিযোগ তুলে এনসিইআরটি ছাড়তে চাইলেন ৩৩ শিক্ষাবিদ

চিঠিতে শিক্ষাবিদেরা লিখেছেন, ‘‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এনসিইআরটি একতরফা ভাবে পাঠ্যপুস্তকগুলির পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩ ১৫:২৩
33 authors have requested the NCERT authority to delete their names from the Textbook Development Committee

প্রতীকী ছবি।

জীববিদ্যা থেকে রয়ায়ন, ইতিহাস থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান— নানা বিষয়ের কেন্দ্রীয় স্কুল পাঠ্যক্রম থেকে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বাদ পড়ে চলেছে। এই আবহে এনসিইআরটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা রাষ্ট্রীয় শিক্ষা অনুসন্ধান এবং প্রশিক্ষণ পরিষদ) অনুমোদিত বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকের ৩৩ জন লেখক চিঠি পাঠালেন। ওই ৩৩ জন শিক্ষাবিদ এনসিইআরটি-কে পাঠানো চিঠিতে ‘পাঠ্যপুস্তক উন্নয়ন কমিটি’ (টিডিসি) থেকে তাঁদের বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

২০০৫-০৭ সালের মধ্যে প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকগুলির প্রধান উপদেষ্টা যোগেন্দ্র যাদব এবং সুহাস পালসিকর-সহ বিভিন্ন অধ্যায়ের ওই লেখকেরা এনসিইআরটির ডিরেক্টর ডিপি সাকলানিকে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এনসিইআরটি একতরফা ভাবে পাঠ্যপুস্তকগুলির পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। এর ফলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যসূচি তৈরিতে আমাদের সৃজনশীল সম্মিলিত প্রচেষ্টা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, এনসিইআরটির নির্দেশিকা মেনে গত কয়েক মাসে পরিবর্তন ঘটেছে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে। কোনও শ্রেণিতে মোগল যুগ বাদ পড়েছে। কোথাও ডারউইনের বিবর্তনবাদ। কোথাও নারী আন্দোলনের ইতিহাস। কোথাও বা ভারতের সামাজিক বৈষম্য। শিক্ষামহল এবং শিক্ষায় আগ্রহী মহল, সর্বত্রই এ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপি মূলত তাদের সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ এবং দৃষ্টিকোণ থেকেই ছেঁটে ফেলার বিষয়গুলি ঠিক করছে। উল্টো মতামত হল, পড়ুয়াদের উপর অকারণ চাপ কমাতেই এই সব রদবদল। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement