আমেরিকার এমকিউ-রিপার ড্রোনের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে নিহত হয়েছিলেন আল কায়দা প্রধান জাওয়াহিরি। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন আমেরিকা সফরের সময়ই সে দেশ থেকে কয়েক ডজন হামলাকারী ‘প্রিডেটর’ ড্রোন কেনার বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হতে পারে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আমেরিকায় তৈরি আধুনিক এমকিউ রিপার সিরিজ়ের ড্রোন কেনার চুক্তির অঙ্ক ৩০০ কোটি ডলার (প্রায় ২৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা) ছুঁতে পারে।
এক দশক আগে তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমর, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের প্রধান বায়তুল্লা মেহসুদ থেকে হালফিলে ইরানের জেনারেল কাশেম সোলেমানি এবং আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছিল এই এমকিউ রিপার ড্রোন। ভারত ওই সিরিজের এমকিউ-৯বি সিগার্ডিয়ান সংস্করণটি কিনতে পারে বলে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। আমেরিকার ‘জেনারেল অটোমিক্স অ্যারোনটিক্যাল সিস্টেমস’-এর ‘এমকিউ-৯ রিপার’ নামে এই হানাদার ড্রোন ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় থেকে শত্রুর উপর আঘাত হানতে পারে।
আগামী ২২ জুন হোয়াইট হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগেই চুক্তির খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করার জন্য পেন্টাগনের তরফে নয়াদিল্লিকে ‘বার্তা’ দেওয়া হয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, ২৭ ঘণ্টা ধরে এক টানা ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই ঘাতক ড্রোনের। সর্বোচ্চ বহন ক্ষমতা ১,৭৪৬ কিলোগ্রাম। অর্থাৎ, শত্রুর এলাকার গভীরে ঢুকে হামলা চালানোর ক্ষমতা রয়েছে ‘এমকিউ-৯ রিপার’-এর।
শক্রপক্ষের রেডারের নজরদারি এড়াতে সক্ষম এই হানাদার ড্রোন ৯৫০ অশ্বশক্তির ইঞ্জিনের সাহায্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৩০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে সক্ষম। এই ঘাতক ড্রোন হাতে এলে ভবিষ্যতে বালাকোটের ধাঁচে পাক অধিকৃত কাশ্মীর বা খাইবার-পাখতুনখোয়ায় জঙ্গি শিবিরে কোনও ঝুঁকি ছাড়াই হামলা চালাতে পারবে ভারতীয় সেনা। নেটো জোটের বাইরে ভারতই প্রথম দেশ, যারা আমেরিকা থেকে এই ঘাতক ড্রোন পেতে চলেছে।