Uniform Civil Code

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে কেন হঠাৎ তৎপর হল ‘আইন কমিশন’? প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস

ভারত জুড়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর কথা বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে রয়েছে। রামমন্দির, তিন তালাক, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরে এ বার তা হতে চলেছে বলে জল্পনা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩ ১২:২৬
Congress asks, why the Law Commission revisiting Uniform Civil Code

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে নতুন তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের। ছবি: পিটিআই।

লোকসভা ভোটের আর এক বছরও বাকি নেই। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় আইন কমিশন নতুন করে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার তৎপরতা শুরু করায় প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। ২০১৮ সালে আইন কমিশন ‘পারিবারিক আইনের সংস্কার’ বিষয়ক পরামর্শপত্রে জানিয়েছিল, বর্তমান পরিস্থিতিতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রয়োজনীয় বা কাম্য নয়। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশের প্রশ্ন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে মেয়াদ বাড়ানোর পরেই কেন বদলে গেল আইন কমিশনের অবস্থান?’’

আইন কমিশনের তরফে বুধবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং আমজনতার মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ঘটনাচক্রে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২২তম আইন কমিশনের মেয়াদ প্রায় ১৮ মাস বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছিল।

Advertisement

আইন কমিশন আদতে কেন্দ্রীয় সরকার-নিযুক্ত সংস্থা, যার কাজ আইন সংস্কার এবং নীতি সংক্রান্ত সুপারিশ করা। সচরাচর এই কমিশনের মেয়াদ হয় ৩ বছর। ২২তম আইন কমিশন নিযুক্ত হয়েছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মেয়াদ বাড়ানোর পরেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে নতুন করে সক্রিয়তা শুরু হয়েছে কমিশনের।

পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে। দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রতিশ্রুতি বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। রামমন্দির, তিন তালাক, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরে এ বার তা পূর্ণ হতে চলেছে বলে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে।

কয়েক মাস আগে তৎকালীন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সংসদে জানিয়েছিলেন, দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার কোনও পরিকল্পনা মোদী সরকারের নেই। কিন্তু কয়েক মাস আগে মহারাষ্ট্রের কোলাপরে বিজেপির ‘বিজয় সংকল্প শোভাযাত্রা’ কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “তিন তালাক, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরে দেশ এ বার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রণয়ন করার প্রশ্নে এগিয়ে চলেছে।’’ এর পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর ইঙ্গিত দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে সব ধর্মের মানুষ একই রকম পারিবারিক, বিবাহ এবং সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত আইন মানতে বাধ্য থাকবেন। ওই আইন কার্যকর হলে মুসলিমদের পার্সোনাল ল’বোর্ডের কার্যত কোনও ভূমিকা থাকবে না। সে ক্ষেত্রে বিরোধিতায় নামতে পারে সংখ্যালঘু সমাজ। প্রতিবাদ আসতে পারে বিরোধীদের তরফেও।

আরও পড়ুন
Advertisement