মহারাষ্ট্রেও মিলল এইচএমপিভির সংক্রমণ। —প্রতীকী চিত্র।
আরও দু’জনের শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) পাওয়া গেল মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। সংক্রমিতদের এক জনের বয়স সাত বছর এবং অপর জনের ১৩ বছর। দু’জনেরই জ্বর এবং সর্দিকাশির মতো কিছু উপসর্গ ছিল। নাগপুরের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হলে এইচএমপিভি সংক্রমণ ধরা পড়ে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দু’জনের কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন হয়নি। আপাতত বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে তাদের। উভয়েরই শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।
এইচএমপি ভাইরাসের একটি রূপ সম্প্রতি চিনে সংক্রমণ বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। যা নিয়ে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। চিনের এই পরিস্থিতির মাঝে সোমবার ভারতেও এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণের খবর আসতে শুরু করে। প্রথমে বেঙ্গালুরুর দুই শিশুর শরীরে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলে। তাদের এক জনের বয়স আট মাস, অপর জনের তিন মাস। বেঙ্গালুরুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পায় মানুষের মনে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, চিনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে বেঙ্গালুরুর সংক্রমণের কোনও যোগ নেই।
বস্তুত এই এইচএমপি ভাইরাস ভারতে আগে থেকেই রয়েছে। তবে পুরনো ভাইরাসটির কোনও রূপান্তর হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। চিনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের ওই রূপটির গঠন কেমন, সে বিষয়েও বিশদ কোনও তথ্য নেই। চিনা ভাইরাসের বিষয়ে সময়ে সময়ে তথ্য দেওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-কে অনুরোধ জানিয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা জানিয়েছেন, হু বিষয়টি দেখছে এবং দ্রুত ভারতকে তারা তথ্য পাঠাবে। বেঙ্গালুরুর দুই শিশুর পাশাপাশি অহমদাবাদের এক শিশু এবং মুম্বই থেকে কলকাতা আসা এক শিশুরও এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। পাশাপাশি তামিলনাড়ুতেও এই ভাইরাসে সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত দেশে যে ক’টি সংক্রমণের খবর মিলেছে, প্রত্যেকেই শিশু এবং কিশোর। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে কোনও বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। শীতকালে এবং বসন্তের শুরুর দিকে এই ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে বলেও জানান তিনি।