Guidelines Regarding HMPV Virus

দেশে আক্রান্ত ৪, ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল কর্নাটক সরকার, ফিরছে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার!

ভারতে অতীতেও এইচএমপিভি-র সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। তবে এই ভাইরাসটির কোনও রূপান্তর হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেন্দ্র জানিয়েছে যে, চিনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে ভারতে সংক্রমণের কোনও যোগ নেই।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২৫
ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল কর্নাটক সরকার।

ভাইরাস নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল কর্নাটক সরকার। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সোমবারই সারা দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত মোট চার শিশুর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে দুই শিশুই কর্নাটকের। সেই আবহেই এ বার জনসাধারণের জন্য নির্দেশিকা জারি করল সে রাজ্যের সরকার। জানিয়ে দেওয়া হল, এখন থেকে পরতে হবে মাস্ক। সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে সাবান, স্যানিটাইজ়ার। বছর চারেক আগে কোভিড পরিস্থিতিতেও এমনই নানা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তার পরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এইচএমপিভি ফেরাবে করোনা-কালের স্মৃতি?

Advertisement

যদিও কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, এখনই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ভারতে অতীতেও এইচএমপিভি-র সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। তবে এই ভাইরাসটির কোনও রূপান্তর হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেন্দ্রের তরফে এও জানানো হয়েছে যে, চিনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণের কোনও যোগ নেই। তা ছাড়া, এইচএমপিভি আক্রান্ত সব শিশুরই অবস্থা স্থিতিশীল। বেঙ্গালুরুর আক্রান্ত দুই শিশুর মধ্যে এক জনকে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য জনও সেরে ওঠার মুখে।

সম্প্রতি চিনে এইচএমপিভি-র একটি রূপের সংক্রমণ বেড়েছে। তার পর থেকেই উদ্বেগ দানা বেঁধেছে ভারত-সহ অন্যান্য দেশে। অনেকেই বছর চারেক আগের করোনা-আবহের কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুর দুই শিশু, অহমদাবাদের এক শিশু এবং কলকাতার এক শিশুর দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতেও। তবে চিনে ভাইরাসটির যে রূপ ছড়িয়ে পড়েছে, সেটির গঠনের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য মেলেনি। ফলে এটি ভাইরাসের চিনা রূপ নাকি স্বাভাবিক এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ, তা এখনও বলা যাচ্ছে না।

তবে এইচএমপিভি-র সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। সাধারণ এইচএমপিভি সংক্রমণে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, ঠান্ডা লাগা, ঘাম হওয়া, মাথা ধরা, পেশি ও গাঁটে ব্যথা, ক্লান্তি এবং খিদে কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। সাধারণত, ১৩ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। তবে দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরেও এই ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে। এ থেকে বাঁচতে সোমবারই কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করেছে কর্নাটক সরকার। তাতে খোলা জায়গায় হাঁচি-কাশি থেকে বিরত থাকা, হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা, মাস্ক পরা, একই রুমাল বার বার ব্যবহার না করা, সাবান ও স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করা, অসুস্থ ব্যক্তির থেকে দূরে থাকা— এমন নানা নিয়মবিধি রয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন