HMPV

২০০১ সালে প্রথম শনাক্ত! এইচএমপিভি কোনও নতুন ভাইরাস নয়, দেশবাসীকে বার্তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

এইচএমপিভি প্রথম শনাক্ত হয় ২০০১ সালে। বিশ্বে এই ভাইরাস বহু বছর ধরেই ছড়িয়ে রয়েছে। শীতে ও বসন্তের শুরুতে এই ভাইরাসের সংক্রমণের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এ কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:১৩
এইচএমপিভি নিয়ে অযথা উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ কেন্দ্রের।

এইচএমপিভি নিয়ে অযথা উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ কেন্দ্রের। — প্রতীকী চিত্র।

হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) নতুন কোনও ভাইরাস নয়। দেশবাসীর উদ্বেগ দূর করতে এক ভিডিয়ো বার্তায় এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা। তিনি জানান, ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাসকে শনাক্ত করা হয়। বহু বছর ধরেই এই ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে। ভারতের কোনও অঞ্চলে শ্বাসজনিত কোনও ভাইরাল প্যাথোজেন বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়নি।

Advertisement

সম্প্রতি চিনে এইচএমপি ভাইরাসের একটি রূপের কারণে অনেকে সংক্রমিত হচ্ছেন। তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ভারত-সহ বিশ্বের অন্য প্রান্তের সাধারণ মানুষের মনেও। এরই মধ্যে সোমবার ভারতে পাঁচ শিশুর এইচএমপিভি সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। প্রত্যেকেই শিশু হওয়ায় উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পায় দেশবাসীর মনে। কেন্দ্র থেকে অবশ্য ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চিনে ভাইরাসের যে রূপটি ছড়িয়ে পড়েছে, তার সঙ্গে এ দেশের কোনও যোগ নেই।

দেশবাসীর উদ্দেশে ভিডিয়ো বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, যে কোনও বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। শীতকালে এবং বসন্তের শুরুর দিকে এই ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে বলেও জানান তিনি। বস্তুত, চিনও সেখানে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণকে একটি ‘শীতকালীন সংক্রমণ’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে।

নড্ডা জানান, চিনের পরিস্থিতির উপর অবিরাম নজর রাখছে কেন্দ্র। নজর রাখা হচ্ছে অন্য প্রতিবেশী দেশগুলিতেও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-ও সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে পদক্ষেপ করেছে। হু শীঘ্রই ওই ভাইরাসের বিষয়ে তাদের তথ্য ভারতকে পাঠাবে বলেও আশ্বস্ত করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার সকালে মহারাষ্ট্রের নাগপুরেও দু’জনের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। এক জনের বয়স সাত বছর, অন্য জনের ১৩ বছর। কাশি এবং জ্বরে ভুগছিল দু’জনেই। পরে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর আগে কর্নাটক, গুজরাত, তামিলনাড়ুতেও ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। মুম্বই থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কলকাতায় আসা এক শিশুর শরীরেও ভাইরাসের সংক্রমণ মেলে। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়ে গিয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন