Guangzhou F.C.

দেশের ফুটবলে বিপ্লব আনা ক্লাব ঋণে জর্জরিত, টাকার অভাবে উঠেই গেল চিনের সফলতম ক্লাব

ব্রাজিলের তারকা ফুটবলারেরা এক সময় ক্লাবের হয়ে খেলে গিয়েছেন। কোচিং করিয়েছেন ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ। চিনের সেই ক্লাব গুয়াংঝু এফসি পাকাপাকি ভাবে ঠাঁই নিল ইতিহাসের পাতায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:০৯
football

সোনালি অতীত। এশিয়া সেরা হওয়ার পর গুয়াংঝু দল। — ফাইল চিত্র।

ব্রাজিলের তারকা ফুটবলারেরা এক সময় ক্লাবের হয়ে খেলে গিয়েছেন। কোচিং করিয়েছেন ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ। চিনের সেই ক্লাব গুয়াংঝু এফসি পাকাপাকি ভাবে ঠাঁই নিল ইতিহাসের পাতায়। বিপুল ঋণের দায় কাঁধে নিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল ক্লাব। এখনও পর্যন্ত চিনের সফলতম ক্লাব সেটিই।

Advertisement

এখন যে ভাবে সৌদি আরবে গিয়ে আসর জমাচ্ছেন তারকা ফুটবলারেরা, গত দশকে সে ভাবেই চিনে শুরু হয়েছিল ফুটবল বিপ্লব। অর্থের টানে চিনের বিভিন্ন ক্লাবে সই করতে থাকেন ইউরোপে লিগে বড় নামের ফুটবলারেরা। সমৃদ্ধ হতে থাকে চিনের লিগ। গোটা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকে তারা। প্রচুর অর্থ খরচ করতে থাকে। বিরাট স্টেডিয়াম বানানোর কাজে হাত দেওয়া হয়।

সেই সুখের দিন খুব বেশি সময় স্থায়ী ছিল না। গত দশকের শেষের থেকেই আর্থিক কারণে অনেক ক্লাবই একে একে ঝাঁপ বন্ধ করতে শুরু করে। বেলাগাম অর্থ খরচের বিরুদ্ধে কড়া হয় সে দেশের সরকারও। এখন চিন আর ফুটবলারদের কাছে আকর্ষণ নয়। সে দেশের ফুটবলও জৌলুস হারাচ্ছে। তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ গুয়াংঝুর উঠে যাওয়া।

চিনের ক্লাবটিতে কোচিং করিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী মার্সেলো লিপ্পি, ফাবিয়ো কানাভারো, লুইজ় ফিলিপ স্কোলারিরা। আটটি চাইনিজ়‌ সুপার লিগ জিতেছে তারা। দু’বার এশিয়ার সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতাতেও জিতেছে। তবে এক সময় প্রচুর দামে ফুটবলার কেনায় বাজারে প্রচুর ধারদেনাও হয়েছে। সমস্যা হয়েছে দু’বছর আগে প্রধান স্পনসর এভারগ্রান্ডে সরে যাওয়ায়। বিপুল ধার মেটানোর কোনও রাস্তা না থাকায় গুয়াংঝু পাততাড়ি গুটিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। শুধু তারাই নয়, জিয়াংসু সুনিংয়ের মতো সফল ক্লাবও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন