পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকলেও কিছুতেই লেখাপড়ায় মন বসছে না। ছবি- সংগৃহীত
ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অনেক সময়ে দেখা যায়, পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকলেও কিছুতেই লেখাপড়ায় মন বসাতে পারছে না। অনেক চেষ্টা করেও সম্ভব হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে জ্যোতিষ শাস্ত্রে কিছু টোটকার কথা বলা হয়েছে, যা সঠিক নিয়মে পালন করতে পারলে বিশেষ ফল পাওয়া যাবে।
দেখে নেব টোটকাগুলি
১) বিদ্যারদেবী মা সরস্বতীর আরাধনা করতে হবে। ‘ওঁ ঐং ক্লীম সরস্বতৈ নম’— এই মন্ত্রটি ১০৮ বার পদ্মাসনে ঈশান কোণে মুখ করে বসে পাঠ করতে হবে।
২) ছাত্র-ছাত্রীরা যেন লেখাপড়ার সময়ে উত্তর দিকে মুখ করে বসে, তা হলে একাগ্রতা বৃদ্ধি পাবে।
৩) পঞ্চমুখী হনুমানের পুজো করতে হবে।
৪) প্রতিদিন পাঁচটি করে তুলসীপাতা ভক্ষণ করতে হবে।
৫) পড়তে বসার সময়ে কাঠের চেয়ার-টেবিল ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল করতে হবে টেবিলে যেন কাচ পাতা না থাকে।
৬) লোহার স্কেল বর্জন করতে হবে।
৭) প্রতি রবিবার রুটি, চিনি এবং একটি গোলাপফুল একসঙ্গে তামার পাত্রে রেখে সূর্যদেবকে অর্পণ করতে হবে।
৮) পড়ার টেবিলে সবুজ রঙের কাপড় পাততে হবে।
৯) প্রত্যেক বৃহস্পতিবার পাঁচ রকম মিষ্টি ও পাঁচটি এলাচ একসঙ্গে একটি প্লেটে নিয়ে অশ্বত্থ গাছের নীচে সন্ধ্যাবেলায় অর্পণ করতে হবে। পর পর তিনটি বৃহস্পতিবার করলে ফল মিলবে।
১০) তামার আংটি এবং পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন।
১১) বাগানের ঝড়ে পরা ফুল পড়ার টেবিলে রাখতে হবে।
১২) বিদ্যার্থীদের ঘর যেন সবুজ বা হালকা হলুদ বর্ণের হয়।
১৩) পড়ার ঘর সব সময়ে খোলামেলা রাখতে হবে।
১৪) ঘড়িতে অ্যালার্ম সব সময়ে পূর্ণ সংখ্যায় দিতে হবে। অর্থাৎ, ভোর ৪টে বা ৫টার সময়ে দিতে হবে। ‘সাড়ে’ বা ‘সোয়া’ এগুলি বর্জনীয়।
১৫) লেখাপড়ার টেবিলে যে কোনও এক জন মহাপুরুষের ধ্যানমগ্ন ছবি রাখুন।
১৬) হিংস্র কোনও জন্তুর ছবি রাখা উচিত নয়।
১৭) বিদ্যার্থীরকে দিয়ে মাঝেমধ্যে দরিদ্র ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জিনিস দান করান।
১৮) বুধবার কালো কুকুরকে কিছু খাওয়ান।
১৯) কালো কালিতে লেখা বর্জন করতে হবে।
২০) যে খাতায় লিখবে, তার মধ্যে একটি কচি অশ্বত্থ পাতা রাখুন।
২১) খালি গায়ে পড়তে বসতে নেই। হালকা রঙের বস্ত্র পড়ুন।
২২) রাতে শয়নের আগে ‘হরে কৃষ্ণ- হরে কৃষ্ণ- কৃষ্ণ-কৃষ্ণ হরে-হরে /হরে রাম-হরে রাম-রাম-রাম হরে– হরে’ মন্ত্রটি অন্তত দশ বার করলে একাগ্রতা বাড়বে।