ছবি: প্রতীকী
খেলাধুলো করতে গিয়ে অসাবধানে চলাফেরা করার সময় বা পড়ে গিয়ে শরীরের যে কোনও অংশের হাড় ভেঙে যেতে পারে। তবে সামান্য হাঁটু ভাঁজ করে কমোডে বসতে গিয়ে পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঘটনা বিরল। সম্প্রতি তেমনই একটি ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়েছে।
বছর ২৬-এর বিথানি এসন, প্রত্যেক দিনের মতো ঘুম থেকে উঠে শৌচালয়ে গিয়েছিলেন। মূত্রত্যাগ করার পর শৌচাগার থেকে ঘরে ফিরে আসার সময়ে ঘরের দিকে পা বাড়াতেই হঠাৎ বাঁ পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করেন তিনি। যন্ত্রণার তীব্রতা সামাল দিতে না পেরে আবার কমোডের উপর বসে প়ড়েন। ঠিক সেই সময়ে বিথানি বুঝতে পারেন, তাঁর পায়ের কোনও জোর নেই। বোধ হয় ভেঙে গিয়েছে হাড়ও। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের কাছে যেতেই ‘এক্স-রে’-তে ধরা পড়ে, বিথানির পায়ের হাড় ভেঙেছে। শুধু তা-ই নয়, হাড়ের একটি টিউমারের দেখা মিলেছে।
চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে ‘জায়েন্ট সেল টিউউমার’ বলা হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই টিউমারের জন্য পায়ের হাড় ক্ষয়ে গিয়ে, তা ভাঙার উপযোগী হয়ে ওঠে। তৎক্ষণাৎ অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। টিউমারের সঙ্গে বিথানির পায়ের ঊরু এবং হাঁটুর হাড়ও বাদ দিতে হয়। চিকিৎসকেরা জানান, পায়ের হাড় জোড়া লাগলেও জীবনে আর কোনও দিনই হিল জুতো পরা হবে না তাঁর। এমনকি, পায়ে আগের মতো জোর পাওয়াও মুশকিল। তবে নিয়মিত ফিজিয়োথেরাপি করলে ধীরে ধীরে উন্নতি সম্ভব। সঙ্গে শরীরচর্চা এবং স্ট্রেন্থ ট্রেনিংও।
‘জায়েন্ট সেল টিউমার’ কী?
টিউমার সাধারণত দুপ্রকার। ম্যালিগন্যান্ট এবং বিনাইন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ‘জায়েন্ট সেল টিউমার’ বিনাইন গোত্রের হয়। ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সিদের শরীরে হাড়ের উপর এই জাতীয় টিউমার হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। অস্ত্রোপচারের পরও দেহের অন্যত্র টিউমার ফিরে আসতে পারে। সাধারণত শরীরের যে যে অঞ্চলে লম্বা হাড় থাকে, সেই অংশে টিউমার হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।