Body Pain

বাত নেই, তবু শীতের মরসুমে কেন বাড়ছে শরীরে বিভিন্ন অস্থিসন্ধির ব্যথা?

তাপমাত্রা যেই না কমতে শুরু করেছে, অমনি বাড়তে শুরু করেছে গাঁটে গাঁটে ব্যথার প্রকোপ। বাত তো নেই, তা হলে কেন হচ্ছে এমন ব্যথা?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:৫৪
শরীরে অস্থিসন্ধির মাঝে যে তরল থাকে, এই মরসুমে তার ঘনত্ব বেড়ে যায়।

শরীরে অস্থিসন্ধির মাঝে যে তরল থাকে, এই মরসুমে তার ঘনত্ব বেড়ে যায়। ছবি- সংগৃহীত

বয়স তেমন নয়। আবার বাতও নেই। অথচ শীতকালে সকালে ঘুম থেকে উঠতে গিয়েই বুঝতে পারছেন দেহের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা। হাতের আঙুল, পা ভাঁজ করতে সমস্যা হয়। চিকিৎসকদের মতে, যাঁদের আর্থারাইটিস আছে, তাঁদের কাছে এই সমস্যা নতুন নয়। কিন্তু সাধারণ ভাবে এই ব্যথার কারণ হতে পারে শারীরিক সক্রিয়তার অভাব। যার ফলে শরীরে বিভিন্ন পেশি শক্ত হয়ে যায়। এ ছাড়াও শরীরে অস্থিসন্ধির মাঝে যে তরল থাকে, এই মরসুমে তার ঘনত্ব বেড়ে যায়। তাই অস্থিতে নমনীয়তার অভাব দেখা দিতেই পারে। তবে দু’টি বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতকালে এই ধরনের ব্যথার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

Advertisement

শীতকালে ব্যথা-বেদনা দূরে রাখতে কোন দু’টি বিষয় মাথায় রাখবেন?

১) শরীরচর্চা করছেন কি?

শীতকালে শরীরচর্চা করতে কমবেশি সকলেরই অনীহা থাকে। ঘুম থেকে উঠতেও কষ্ট হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইচ্ছা না করলেও এই সময়ে হালকা কিছু ব্যায়াম অতি অবশ্যই করতে হবে। কারণ, শীতে শরীরের কমনীয়তা এমনিতেই কমে যায়। তার উপর বয়স্ক মানুষদের যদি বাতের সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে সমস্যা গুরুতর হয়। তাই শরীরচর্চা ছাড়া এই ব্যথা-বেদনা থেকে মুক্তি পাওয়ার স্থায়ী কোনও উপায় নেই।

২) ভিটামিন ডি-র অভাব হচ্ছে না তো?

ভিটামিন ডি-র প্রাকৃতিক উৎস হল সূর্যালোক। এ কথা অনেকেই জানেন যে, শীতকালে দিন ছোট এবং রাত বড়। আবার দিনের বেশির ভাগ সময়েই কুয়াশায় ঢাকা থাকে। তাই খুব বেশি সময় সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকা সম্ভব হয় না। এ ছাড়াও দিনের বেশির ভাগ সময়ে গরম পোশাক পরে থাকার জন্য তা ভেদ করে রোদ গায়ে লাগতে পারে না। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি হতে পারে না। ফলে শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

চিকিৎসকদের মতে, হাড়, দাঁত, অস্থিসন্ধি মজবুত করতে ভিটামিন ডি-র প্রয়োজন রয়েছে। তাই এই মরসুমে নিয়মিত রক্তে ভিটামিন ডি-র মাত্রা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। যদি এই ভিটামিনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়, সে ক্ষেত্রে ওষুধের সাহায্য নিতেই হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement