শারীরিক সমস্যার কারণেও বড় বয়সে বিছানা ভিজিয়ে ফেলতে পারে শিশুরা। ছবি- সংগৃহীত
ঘুমের মধ্যে অবচেতন অবস্থায় থাকলেও কিন্তু প্রস্রাব ধরে রাখার ক্ষমতা কমবেশি সকলেরই থাকে। তবে একেবারে সদ্যোজাত থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্য এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি এই অভ্যাসে বদল না ঘটে, তা হলে সে ক্ষেত্রে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে কেউ কেউ শুধু অভ্যাসে নয়, শারীরিক সমস্যার কারণেও বড় বয়সে বিছানা ভিজিয়ে ফেলতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শুধু অভ্যাস নয়, আর কী কী কারণে ঘুমের মধ্যে বিছানা ভিজিয়ে ফেলতে পারে শিশুরা?
১) মূত্রাশয়ের আকার এবং গঠনে সমস্যা থাকলে প্রস্রাব ধরে রাখতে অসুবিধা হতে পারে।
২) মূত্রাশয়ে প্রস্রাব ধরে রাখতে যে স্নায়ুগুলি সাহায্য করে, সেগুলির গঠনগত সমস্যা থাকলেও এমন সমস্যা হতে পারে।
৩) রাতে ঘুমের সময়ে মূত্র উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে ‘অ্যান্টি ডিউরেটিক হরমোন’(এডিএইচ)। শরীরে এই হরমোনের মাত্রা কম থাকলেও কিন্তু বড় বয়সে সন্তানের বিছানা ভিজিয়ে ফেলার সমস্যা হতে পারে।
৪) মূত্রনালিতে কোনও রকম সংক্রমণ হলেও কিন্তু প্রস্রাব ধরে রাখতে সমস্যা হতে পারে।
৫) স্নায়ুর সমস্যা, শিশুদের টাইপ ২ ডায়াবিটিস ছাড়াও বড় বয়সে শিশুদের বিছানা ভিজিয়ে ফেলার সমস্যা জিনগতও হতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকদের একাংশ।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অভিভাবকদের কী করণীয়?
তুলনায় বড় বয়সি শিশুরা রাতে ঘুমের মধ্যে বিছানা ভিজিয়ে ফেললে, তাদের মনেও অপরাধবোধ কাজ করে। কখনও কখনও হীনম্মন্যতার শিকার হয় তারা। তাই শাসন না করে, ধৈর্য ধরে পুরো বিষয়টিকে পর্যবেক্ষণ করে এবং আলোচনার মাধ্যমেই সারিয়ে ফেলা যায়। এ ছাড়াও রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সন্তানকে বেশি জল খেতে না দেওয়া, ঘুমের আগে অবশ্যই প্রস্রাব করানোর অভ্যাস করাতে হবে।