Milk for Bone Health

হাড়ের যত্নে দুধই শেষ কথা, প্রাচীন এই ধারণা অনেকটাই ভ্রান্ত, কেন বলছেন চিকিৎসক?

দুধে ক্যালশিয়াম রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে, সে কথা ভুল নয়। হাড়ের যত্নে এই খনিজটির ভূমিকাও অনস্বীকার্য। তবে হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে শুধু সেটুকুই যথেষ্ট নয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:১৭
Milk

দুধ না খেলেও হাড় ভাল থাকবে? ছবি: সংগৃহীত।

দুধের গ্লাস নিয়ে খুদেদের পিছনে দৌড়ে বেড়ান মায়েরা। পুষ্টিকর ওই পানীয় খেলে যে শুধু পেট ভরবে তা নয়, শরীরে প্রয়োজনীয় ক্যালশিয়ামের ঘাটতিও পূরণ হবে। আর হাড়ের যত্নে ক্যালশিয়াম অপরিহার্য। ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ সহজলভ্য পানীয় বলতেই প্রথমে উঠে আসে দুধের নাম। বাড়ন্ত বয়সে হাড়ের যত্ন নিতে তাই চোখ বন্ধ করে দুধের উপরেই ভরসা করেন অভিভাবকেরা। কিন্তু হাড় বা দাঁত মজবুত করতে দুধই ‘শেষ কথা’— অভিভাবকদের এই ধারণা অনেকটাই ভ্রান্ত। এমনই বলছেন লন্ডনের কিংস কলেজের অধ্যাপক, চিকিৎসক টিম স্পেক্টর।

Advertisement

দুধে ক্যালশিয়াম রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে, সে কথা ভুল নয়। হাড়ের যত্নে এই খনিজটির ভূমিকাও অনস্বীকার্য। তবে টিমের বক্তব্য, “দুধ হাড় মজবুত করে না। বরং তা দৈর্ঘ্যে বাড়তে সাহায্য করে। হাড়ের ঘনত্ব ভাল না হলে তা সহজেই ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। সামান্য চোট বা আঘাতেই ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।”

হাড়ের যত্নে দুধের গুরুত্ব কতটা, তা নিয়ে একাধিক গবেষণাও রয়েছে। টিম বলছেন, দুধকে পুষ্টিকর পানীয় বলে বেশি ‘নম্বর’ দেওয়ারও কোনও কারণ নেই। এক কাপ দুধ কফি খেলে যেমন কোনও ক্ষতি হবে না, রোজ গ্লাস ভর্তি করে দুধ খেলেও যে খুব উপকার হবে, তেমনটা নয়।

বাড়ন্ত শিশুদের কি দুধ না খাওয়ালেও চলবে?

হাড় এবং দাঁতের যত্নে দুগ্ধজাত মজানো (ফার্মেন্টেড) খাবারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাই রোজের ডায়েটে ইয়োগার্ট, দই, চিজ়, কেফিরের মতো খাবার রাখতে পারলে ভাল হয়। টিম বলছেন, দই বা ইয়োগার্ট তৈরির সময়ে স্বাভাবিক ভাবেই দুধকে যে প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তাতেই পুষ্টিগুণের তালিকায় অনেকটা হেরফের হয়ে যায়। শুধু শিশুরাই নয়, মধ্যবয়সি, প্রৌঢ় এবং বৃদ্ধরাও দুগ্ধজাত ফার্মেন্টেড খাবার খেলে উপকার পাবেন।

আরও পড়ুন
Advertisement