ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খেয়ে দিন শুরু করেন অনেকে। রাতে ঘুমোনোর সময় টানা ৭-৮ ঘণ্টা জল না খাওয়ার পর এই অভ্যাস যে কেবল তেষ্টা মেটাতে সাহায্য করে, তা নয়। ওজন ঝরাতে, খাবার হজম করতে, এমনকি কিডনি সচল রাখতেও সাহায্য করে। আয়ুর্বেদেও ঈষদুষ্ণ জলের গুণাগুণ সম্পর্কে নানাবিধ কথা বলা আছে। অনেকে মনে করেন, সকালে হালকা গরম জল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়। কারণ, ঈষদুষ্ণ জল বৃহদন্ত্রের পেশিগুলিকে শিথিল করে।
১) ওজন কমানোর প্রথম শর্ত হল বিপাকহার উন্নত করা। সকালে খালি পেটে নিয়মিত ঈষদুষ্ণ জল খেতে পারলে সেই প্রক্রিয়াটি উন্নত হয়। মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে এই অভ্যাস।
২) ঈষদুষ্ণ জল পরিপাকতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। ফলে শরীরের পক্ষে খাদ্যবস্তু ভাঙা এবং তা থেকে পুষ্টি আহরণ করার কাজটি সহজ হয়।
৩) শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে ঈষদুষ্ণ জল। ঘাম এবং মূত্রের পরিমাণ বাড়িয়ে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এটি।
৪) গরমের সময়ে তো বটেই, শীতকালেও কোষ্ঠকাঠিন্যের উপদ্রব বেড়ে যায়। নিয়মিত ভাবে সকালে ঈষদুষ্ণ জল খেলে অন্ত্রের কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক থাকে। যা কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৫) ঠান্ডা লাগা, বুকে কফ জমে যাওয়া এবং গলাব্যথার অব্যর্থ দাওয়াই গরম জল। গরম জল কফ তরল করে বার করে দেয়। এ ছাড়া নাসাপথ পরিষ্কার রাখে।