কী কী উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন বাবা-মায়েরা। ছবি: ফ্রিপিক।
শিশুরা দুরন্ত হবেই। খেলাধুলো করতে গিয়ে প্রায়ই পড়ে গিয়ে হাত-পা কেটে, ছড়ে যায় শিশুদের। তাতে তেমন ভয় নেই। কিন্তু শিশু যদি ঘন ঘন পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়, তা হলে চিন্তার কারণ রয়েছে। হয়তো আপনার অজান্তেই পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছে, বকুনির ভয়ে বলেনি। অথবা স্কুলে গিয়েও এমন হতে পারে। চেয়ার, টেবিল কিংবা খাট থেকে পড়ে গিয়েও মাথায় আঘাত লাগতে পারে।
সামান্য আঘাত দেখলে অনেক সময়েই গুরুত্ব দেন না অভিভাবকেরা। ব্যথার জায়গায় মলম লাগিয়ে দেন, অথবা ব্যথানাশক ওষুধ খাইয়ে দেন। আঘাত যেমনই হোক, শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা দরকার। সামান্য আঘাত থেকেই ভবিষ্যতে মস্তিষ্কের জটিল অসুখের ঝুঁকি বাড়তে পারে। স্নায়বিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
কী কী উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন বাবা-মায়েরা
১) মাথায় একটানা যন্ত্রণা, কথা বলার সমস্যা, শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পারা— এমন লক্ষণ দেখা দিলে দেরি করা ঠিক হবে না।
২) মাথায় আঘাত লাগার পর যদি শিশু বলে যে, মাথা সব সময় ঘুরছে, বমি পাচ্ছে, তা হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
৩) শিশুর চোখের সমস্যা হতে পারে। দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের।
৪) শিশু অমনোযোগী হয়ে পড়তে পারে, ভুলে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়তে থাকলে দেরি করা ঠিক হবে না। স্নায়বিক সমস্যার সূত্রপাত এখান থেকেই হয়।
৫) বাবা-মায়েরা যদি দেখেন, শিশুর নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বার হচ্ছে, তখন দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
৬) আরও কিছু লক্ষণ ভয়ের হতে পারে। যেমন, শিশুর শ্বাসের সমস্যা হওয়া, বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলা। মস্তিষ্কের ভিতর রক্তনালি ছিঁড়ে গেলে তখন রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে, যা বড় ঝুঁকির কারণ।
মাথায় আঘাত লাগলে ফোলা স্থানে আগে বরফ দিতে হবে। রক্ত বার হলে সেই জায়গা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখুন। আঘাত যেমনই হোক, সিটি স্ক্যান করিয়ে রাখা ভাল।