Diet for Office Workers

নিয়ম মেনে ডায়েট করছেন অথচ কাজের চাপে খিদে পেলেও খেতে পারছেন না? আদৌ কোনও লাভ হচ্ছে?

বাড়ি থেকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু অফিসে গিয়ে সহকর্মীর আনা মুখরোচক খাবারে ভাগ বসাচ্ছেন। কোনও দিন বিকেল ৪টে, কোনও দিন ৬টা। সময়ের কোনও ঠিক-ঠিকানা নেই।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৩৮
Image of office worker.

— প্রতীকী চিত্র।

বাড়িতে থাকলে বুঝেশুনে, মেপে খাবার খাওয়া যায়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে বা বাড়ির বাইরে থাকলে ঘড়ি ধরে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রায় অসম্ভব। চিরাচরিত ১০টা-৫টার ছকে বাঁধা অফিস জীবন তো এখন আর নেই। অফিসে ঢোকার সময় নির্দিষ্ট থাকলেও বেরোনোর সময় ঠিক থাকে না। ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় খাওয়াদাওয়া নিয়ে। তার উপর সামনে পুজো। তাই নিজে যতই ডালিয়া, ওট্‌স আনুন না কেন, পাশে বসা সহকর্মীটি রোজই এমন লোভনীয় কিছু পদ রান্না করে আনেন যে মুখ ঘুরিয়ে থাকা যায় না। ফলে খাবারের বিষয়ে অস্বাস্থ্যকর এবং অনিয়ম— দুই-ই সমান তালে চলতে থাকে। কিন্তু রুটিন মেনে খাবেন বলে কাজ বন্ধ রাখা যাবে না। আবার কাজ করবেন বলে না খেয়ে দিন কাটানোও খুব একটা ভাল উপায় নয়। তাই সুস্থ থাকতে কাজ এবং শরীরের প্রয়োজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কখন কী খাবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হবে।

Advertisement

১) পর্যাপ্ত জল

দিনের শুরু থেকেই শরীরে জলের জোগান দিয়ে যেতে হবে। অনেকেই ঈষদুষ্ণ জল খেয়ে দিন শুরু করেন। তা নিঃসন্দেহে ভাল অভ্যাস। তবে এখানে এই অভ্যাস জারি রাখতে হবে গোটা দিন ধরেই। ত্বক, চুলের স্বাস্থ্য থেকে পেটের গোলমাল— সবই আয়ত্তে থাকবে।

২) স্বাস্থ্যকর নাস্তা

বাইরের ভাজাভুজি খাবেন না বলে বাড়ি থেকে সেই যে খেয়ে বেরোলেন, তার পর আর কিচ্ছু মুখে তুললেন না। এই অভ্যাসে শরীর উল্টে খারাপ হবে। তার চেয়ে বরং কাজের টেবিলে বাদাম, মাখনা, খেজুর, নানা ধরনের বীজ রাখা যেতে পারে। কাজের ফাঁকে টুকটাক মুখ চালাতে কাজে লাগবে।

Image of Healthy Diet

— প্রতীকী চিত্র।

৩) ক্যাফিন

পুজোর আগে সব জায়াগাতেই কাজের চাপ থাকে। একার কাঁধে এত দায়িত্ব নিতে গিয়ে বেসামাল হয়ে পড়েন অনেকেই। মনে হয় কফি, চা খেলে একটু আরাম মিলতে পারে। কাজে গতি আসতে পারে। আসেও তাই। তবে বেশি মাত্রায় ক্যাফিন খেয়ে ফেললে কিন্তু অ্যাসিডিটির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement