পরিসংখ্যান বলছে, এ দেশের প্রায় ৫ শতাংশ শিশু কিডনির সমস্যায় ভুগছে। প্রতীকী ছবি।
গুজরাতের একটি স্কুলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে ক্লাসে দুষ্টুমি করার শাস্তি হিসাবে দু’শো বার কান ধরে ওঠবোস করিয়ে ছিলেন শিক্ষক। কিছু ক্ষণ পর ওই ছাত্রটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, তার কিডনি অস্বাভাবিক হারে ফুলে গিয়েছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন।
উবু হয়ে বসা এবং সোজা হয়ে দাঁড়ানো— বার বার এই ধরনের শারীরির ক্রিয়ার ফলে পেটের বিভিন্ন পেশি থেকে মায়োগ্লোবিন নামক একটি যৌগ সরাসরি কিডনিতে গিয়ে পৌঁছায়। এর ফলে কিডনি ধীরে ধীরে ফুলে যেতে থাকে। গুজরাতের ওই শাস্তিপ্রাপ্ত পড়ুয়ার শারীরিক পরীক্ষার পর এমনটাই জানিয়েছেন কিডনির চিকিৎসকরা। ছোটবেলায় ওঠবোস করার অভিজ্ঞতা কমবেশি সকলেরই রয়েছে। অনেক অভিভাবকই ছোটখাটো শাস্তি হিসাবে ওঠবোসকেই বেছে নেন। কিন্তু এই শাস্তি যে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, সে সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। বাচ্চাদের এমন কিছু শাস্তি দেওয়ার আগে দু’বার ভাবা জরুরি।
বিশ্ব জুড়ে কমবয়সিদের মধ্যে কিডনির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, এ দেশের প্রায় ৫ শতাংশ শিশু কিডনির সমস্যায় ভুগছে। স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস— এমন কিছু কারণে বাচ্চাদের মধ্যে ব্যাপক হারে বাড়ছে কিডনির সমস্যা। কিডনির রোগ থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখতে কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজর দিন।
দৌড়ঝাঁপ করান
রোজ অল্প সময়ের জন্য হলেও বাচ্চাকে মাঠে খেলতে নিয়ে যান। কিডনি ভাল রাখতে দৌড়ঝাঁপ, খেলাধুলো করা বিশেষ প্রয়োজন। আপনি যখন শরীরচর্চা করছেন, সেই সময় সন্তানকেও ডেকে নিন। এতে শরীর তো বটেই, শিশুর মানসিক বিকাশও ঘটবে।
চিনি খাওয়াবেন না
বাচ্চারা এমনিতে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করে। কেক, পেস্ট্রি— এ ধরনের খাবার তাদের পছন্দতালিকার শীর্ষে থাকে। প্রক্রিয়াজাত এই খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। যা কিডনির উপর প্রভাব ফেলে। সোডা-জাতীয় পানীয় থেকেও দূরে রাখুন বাচ্চাদের।
প্রচুর জল খাওয়ান
শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়া কিডনির সমস্যার অন্যতম কারণ। খেয়াল রাখুন, সন্তান সারা দিনে পর্যাপ্ত জল খাচ্ছে কি না। কিছু ক্ষণ অন্তর তাকে জল খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিন।
নুন আছে এমন খাবার খাওয়াবেন না
শুধু চিনি নয়, নুনও কিন্তু কিডনির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। চিপস্, পিৎজা, বার্গার— এ ধরনের বাইরের খাবারে নুনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এই ধরনের খাবার থেকে যথাসম্ভব শিশুকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।