আখরোট খেলে নতুন চুল গজাবে। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে উঠে বিভিন্ন রকম বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার অভ্যাস বহু দিন। তবে বাটি থেকে কাঠবাদাম, চিনেবাদাম বা পেস্তাবাদাম যত দ্রুত শেষ হয়ে যায়, আখরোট নিয়ে ততটাই গড়িমসি চলে। স্বাদ একটু কষা বলে আখরোটের তেমন কদর নেই। ঠেকায় না পড়লে কেউই খেতে চান না। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আখরোট খেলে শরীর-স্বাস্থ্য তো ভাল থাকেই, এমনকি ‘বেজান’ চুলও ঝলমল করে ওঠে।
চুল ভাল রাখতে গেলে যেমন বাইরে থেকে যত্নআত্তির প্রয়োজন রয়েছে, তেমনই পুষ্টির জোগানও অব্যাহত থাকা জরুরি। চুল পড়া, খুশকি কিংবা চুলে পাক ধরার সমস্যা দূর করতে এমন অনেক উপাদানের ভূমিকা রয়েছে, যেগুলি সাধারণত আখরোট থেকে পাওয়া যায়। এমনকি মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখা, নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রেও এই বাদামের ভূমিকা রয়েছে।
এমন কী কী আছে আখরোটে?
১) আখরোটে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগানো এবং স্বাভাবিক ভাবে চুলের বাড়বৃদ্ধির জন্য এই বাদাম ভাল। মাথার ত্বকের শুষ্কতা, চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যাও রুখে দিতে পারে আখরোট। মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।
২) চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অনেকে বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকেন। এই বায়েটিন চুলের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন কেরাটিন উৎপাদনে সহয়তা করে, যা চুলের মান ভাল করার পাশাপাশি ঘনত্বও বৃদ্ধি করে। আখরোটের মধ্যে এই উপাদানটি রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রোজ কয়েকটি করে আখরোট খেলে আলাদা করে সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
৩) আখরোটে ভিটামিন ই রয়েছে, যা চুলের জন্য প্রয়োজনীয় একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে। অকালপক্বতা রোধ করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে এই বাদামটি।
৪) চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ হল জ়িঙ্ক। আখরোটে এই খনিজটি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। চুলের জন্ম থেকে ঝরে পড়ার যে চক্র, তা স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে জ়িঙ্ক। চুলের ফলিকলে কোনও রকম ক্ষয়ক্ষতি হলে, তা-ও রুখে দিতে পারে। মাথার ত্বকে সেবাম উৎপাদন এবং খুশকি নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা পালন করে।
৫) চুলের স্বাভাবিক রং ধরে রাখতে সাহায্য করে কপার। এই খনিজটি চুলের ফলিকলে থাকা মেলানিনকে উদ্দীপিত করে। আখরোটের মধ্যে কপারের পরিমাণ বেশি। তাই চুলের অকালপক্বতা রোধ করতে রোজ দু’টি আখরোট খাওয়াই যায়।