Fizzy Drink Side Effect

ওজন বেড়ে যাবে জেনেও ঘন ঘন সোডা পানীয়ে চুমুক দেন, চাইলেও এই প্রবণতা রোখা যায় না কেন?

সোডা জাতীয় নরম পানীয় বেশি খাওয়া ভাল নয় জেনেও তেষ্টা মেটাতে মাঝেমধ্যেই চুমুক দেন। তা মুখগহ্বর থেকে খাদ্যনালি দিয়ে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে সহস্র পিন ফোটার মতো অনুভূতিও হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৮
Fizzy Drink

ক্ষতি হবে জেনেও ‘কার্বোনেটেড’ পানীয়ে চুমুক দিতে ইচ্ছে করে কেন? ছবি: সংগৃহীত।

বিরিয়ানি, চাঁপ হোক, বা রুমালি রুটির সঙ্গে রেজ়ালা— সঙ্গে কাচের গ্লাসে রাখা ঠান্ডা নরম পানীয় চাই-ই! বুদবুদ ওঠা সেই পানীয়ে চুমুক না দিতে পারলে যেন সব সুখই অধরা!

Advertisement

সোডা জাতীয় নরম পানীয় বেশি খাওয়া ভাল নয় জেনেও তেষ্টা মেটাতে মাঝেমধ্যেই চুমুক দেন। তা মুখগহ্বর থেকে খাদ্যনালি দিয়ে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে সহস্র পিন ফোটার মতো অনুভূতিও হয়। কিন্তু, শরীরে তার প্রভাব কেমন? উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত পুষ্টিবিদ একতা সিংহওয়াল বলেন, সোডা ওয়াটার বা খাবার হজম করার জন্য যে ঠান্ডা নরম পানীয় খাওয়া হয়, সেগুলির মধ্যে কার্বন ডাইঅক্সাইড থাকে। তাই তৎক্ষণাৎ মুখগহ্বর, খাদ্যনালির মতো স্পর্শকাতর অংশে পিন ফোটার মতো অনুভূতি হয়। এই কার্বন ডাইঅক্সাইড আবার পাকস্থলীর অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সে কারণে অনেক সময়ে গলা-বুক জ্বালার অনুভূতিও হয়। কিন্তু এই ধরনের পানীয় খাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবও রয়েছে। ‘কার্বোনেটেড’ পানীয়ে যে হেতু চিনি বা কৃত্রিম শর্করার পরিমাণ বেশি, তাই আচমকা রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। একতা বলেন, “নিয়মিত এই ধরনের পানীয় খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ও থাকে। এ ছাড়া দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া, পেটফাঁপার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।”

ক্ষতি হতে পারে জেনেও ‘কার্বোনেটেড’ পানীয়ে চুমুক দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে চলার কারণ কী?

কৃত্রিম শর্করা, ক্যাফিন এবং কার্বোনেশন— এই তিনটি উপাদানই কোনও না ভাবে শরীরে আসক্তি তৈরি করে। কৃত্রিম চিনি মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে উদ্দীপকের মতো কাজ করে। ‘ডোপামাইন’ নামক হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। একই ভাবে ক্যাফিন সজাগ থাকার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কার্বোনেশন পদ্ধতির জন্য এই পানীয়ে চুমুক দিলে স্বাভাবিক ভাবেই একটা তৃপ্তির অনুভূতি আসে। একতার বক্তব্য, “সোডার ক্যান বা নরম পানীয়ের বোতলের ছিপি খোলামাত্র যে শব্দ হয়, তার সঙ্গে অনেকের মনের যোগ রয়েছে। সেখান থেকেও অনেকে এই পানীয়ের প্রতি টান অনুভব করেন।”

এই ধরনের পানীয় কি পছন্দের তালিকা থেকে একেবারে বাদ দেওয়া উচিত?

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, একেবারে বাদ না দিলেও খুব ঘন ঘন এই ধরনের পানীয় না খাওয়াই শ্রেয়। এ বিষয়ে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শ হল, মহিলাদের ক্ষেত্রে দৈনিক চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবারের পরিমাপ ২৫ গ্রাম এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে তা ৩৬ গ্রামের মধ্যে। যদি পানীয়ের কথা বলা হয়, তা হলে এর চেয়ে খানিকটা বেশি চিনি কিন্তু সোডা ওয়াটারের একটি ‘ক্যান’-এর মধ্যেই থাকে।

আরও পড়ুন
Advertisement