রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে রাজমা। ছবি- সংগৃহীত
রাজমা আর ভাত বহু প্রাচীন কাল থেকেই উত্তর ভারতের রান্নাঘর দখল করে ফেলেছে। তবে শুধু উত্তর ভারতেই নয়, নিজগুণে এই খাবার এখন অনেকেরই ভরসার পাত্র হয়ে উঠেছে। শরীর সুস্থ রাখতে প্রতি দিন কিছু পরিমাণ প্রোটিন খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু মাছ, মাংস বা ডিমে যে ধরনের প্রোটিন থাকে, তা কম বয়সে খাওয়া ভাল। বেশি বয়সে এই ধরনের প্রোটিন বেশি খেলে স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে সাবধান করে বহু চিকিৎসক। তাই প্রাণিজ প্রোটিন আর উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে খাওয়াদাওয়া করতে বলা হয়। এমন ক্ষেত্রে রাজমা কিন্তু দারুণ একটি খাবার। তবে শুধু বয়স্করাই নন, যাঁরা ওজন ঝরাতে নিয়মিত মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন, তাঁদের জন্যও এই পুষ্টিকর খাবারটি রাখা যেতেই পারে প্রতি দিনের ডায়েটে।
সাধারণ মানুষ থেকে বলিউডের তারকা, অনেকেই পছন্দ করেন রাজমা দিয়ে ভাত খেতে। অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের ব্যক্তিগত পুষ্টিবিদ শ্বেতা শাহ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের পাশাপাশি রাজমায় আছে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং ভিটামিন বি ১। যা শরীরে বিভিন্ন খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে এবং পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
ডায়েট করলে সাধারণত বার বার খিদে পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় অনেকের মধ্যে। কিন্তু রাজমা খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি থাকে। তাই বার বার খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমে। শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যাওয়ার ভয়ও থাকে না। আবার, ওজন ঝরানোর পাশাপাশি শরীরে পেশি গঠনের উপরেও নজর দিতে হয়। পেশি মজবুত করতে প্রোটিনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।