চা খান বুঝেশুনে। ছবি: সংগৃহীত।
কনকনে শীত হোক কিংবা কাঠফাটা গরম, দিনের শুরুতে চায়ের কাপে চুমুক না দিলে ক্লান্তি কাটতেই চায় না। চা হল বাঙালির একান্ত আপন। বন্ধুদের সঙ্গে দেদার আড্ডায় হোক কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে নিভৃতে গল্পগুজব— চা না হলে চলে নাকি! বিশেষ করে শীতকালে চা হয়ে ওঠে সবচেয়ে কাছের। তবে এটা ঠিক যে চায়ের জনপ্রিয়তা বিশেষ কোনও মরসুমে সীমাবদ্ধ নেই। সারা দিন কয়েক কাপ চা খাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। চা খাওয়া খারাপ নয়, কিন্তু কিছু অভ্যাসে শরীর বিগড়ে যেতে পারে।
খালি পেটে চা খাওয়া
খালি পেটে চা খাওয়ার অভ্যাস ঘরে ঘরে। ঘুম থেকে উঠে চা-এ চুমুক দেন বেশির ভাগই। এতে ঘুম আর আলসেমি কাটলেও অম্বল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। খালি পেটে গরম চা খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। এর ফলে পেপটিক আলসার, গ্যাস-অম্বল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই চায়ের কাপে চুমুক না দিয়ে বরং একটা বিস্কুট খেয়ে তার পর চা খাওয়া ভাল।
খাবারের সঙ্গে চা খাওয়া
ভারী খাবারের সঙ্গে চা খেতে বারণ করছেন চিকিৎসকেরা। এতে প্রথমত হজমের একটা গোলমাল দেখা দেয়। তবে সবচেয়ে যে সমস্যাটি হয়, তা হল শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে যায়। ঝুঁকি বাড়ে অ্যানিমিয়ার। লিভারেরও নানা সমস্যা হতে পারে এর ফলে। তাই ভাত, রুটি, বিরিয়ানি এবং অন্য কোনও ভারী খাবারের সঙ্গে চা না খাওয়াই শ্রেয়।
রাতে চা খাওয়া
অফিস থেকে ফিরে গুছিয়ে বসে এক কাপ চা না খেলে ঠিক চাঙ্গা হয় না শরীর। ফিরতে যত রাতই হোক, চা খান অনেকেই। আবার রাত জাগার জন্যেও অনেকে বার বার চা খান। রাত করে চা খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই ভাল নয়। চায়ে থাকা থিয়োফাইলিনস মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে দীর্ঘ ক্ষণ। সহজে ঘুম আসতে চায় না। রাতে চা খাওয়ার অভ্যাসে অনিদ্রা রোগ দেখা দিতে পারে। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টার মধ্যে চা না খাওয়াই শ্রেয়।