আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সের ভেঙে পড়া বিমান থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স।
কাজ়াখস্তানে বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে কি রুশ বাহিনীর হাত রয়েছে? তাদের ছোড়া গুলিতেই কি বিমানটি ভেঙে পড়ে? দুর্ঘটনার এক দিন পরে এমন কিছু দাবি উঠে এসেছে। ভেঙে পড়া ওই বিমানে একাধিক ছিদ্র দেখা গিয়েছে। যা থেকে অনেকে মনে করছেন, বিমানটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে। দাবি, ইউক্রেনের বিমান ভেবে তাতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই বিতর্ক প্রসঙ্গে এ বার মুখ খুলল মস্কো।
রাশিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘আজ়াইবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তকারীরা কোনও সিদ্ধান্তে না-পৌঁছনো পর্যন্ত এ বিষয়ে চর্চা করা উচিত নয়।’’
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, কাজ়াখস্তানের আকতু শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কাস্পিয়ান সাগরের তীরে যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেখানে কিছু দিন আগেও ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। ইউক্রেনের সেই সমস্ত ড্রোন গুলি করে নামিয়েছিল রুশ বাহিনী। অনেকে মনে করছেন, আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমানটিকেও ইউক্রেনের ড্রোন বলে ‘ভুল’ করে থাকতে পারে রাশিয়ার বাহিনী।
বুধবার ভোরে আকতুতে আজ়ারবাইজানের যাত্রিবাহী বিমানটি ভেঙে পড়ে। তাতে বিমানকর্মী-সহ মোট ৬৭ জন ছিলেন। বিমানটির গন্তব্য ছিল রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের গ্রজ়নি। এখনও পর্যন্ত বিমান দুর্ঘটনার ফলে ৩৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে কাজ়াখ প্রশাসন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে সে দেশেরই হাসপাতালে।
দুর্ঘনার কারণ নিয়ে ধন্দ রয়েছে। বুধবার থেকেই চলছে চর্চা। অনেকের মতে, পাখির ঝাঁকের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল ওই বিমানের। তাই পাইলট জরুরি অবতরণের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু জরুরি অবতরণের আগেই বিমান ভেঙে পড়ে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমানের গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন কেউ কেউ। কী থেকে এই দুর্ঘটনা, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বৃহস্পতিবার আজ়ারবাইজানে এক দিনের শোকপালন করা হয়েছে। দেশ জুড়ে অর্ধনমিত ছিল জাতীয় পতাকা।