Female Fertility

৩০-এর পর অন্তঃসত্ত্বা হতে চাইলে কোন ৫ নিয়ম মানতেই হবে?

৩০-এর পর থেকে সন্তানধারণের ক্ষমতা কমতে থাকে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনাও দেখা যায়। তাই বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:০১
বয়স ৩০ পেরোনোর পরে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে কিছু সাবধানতা মেনে না চললেই নয়।

বয়স ৩০ পেরোনোর পরে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে কিছু সাবধানতা মেনে না চললেই নয়। প্রতীকী ছবি।

ইদানীং ৩০ পেরোনোর আগে অনেকেই সন্তানধারণের কথা ভাবেন না। অনেকে বিয়েই করেন ৩০-এর পরে। তার পরে সন্তানধারণের কথা ভাবেন। বেশি বয়সে সন্তানধারণ করতে চাইলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। হরমোনের ওঠানামা নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যদিও মা হওয়ার কোনও সেরা সময় হয় না। কিন্তু বয়স ৩০ পেরোনোর পরে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে কিছু সাবধানতা মেনে না চললেই নয়।

স্ত্রীরোগ চিকিৎসকদের বক্তব্য, ৩০ এর পর থেকে সন্তানধারণের ক্ষমতা কমতে থাকে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনাও দেখা যায়। তাই কিছু বিষয়ে একটু সাবধান হতে হবে।

Advertisement

কোন কোন বিষয় সতর্ক থাকবেন?

১) ওজনের সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। তবে বাড়তি ওজন শরীরে ডেকে আনে নানা অসুখ। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীরে ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিলে ভ্রুণের ক্ষতি হতে পারে। এ সবের ভয় থেকে দূরে থাকতেই চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন, মা হওয়ার পরিকল্পনা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাই ভাল।

২) ওজন ঝরানোর জন্য ভারী শরীরচর্চা কিংবা ব্যায়ামের অভ্যাসও গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত শরীরচর্চা ঋতুচক্রের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এর ফলে প্রোজেস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমে গিয়ে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। ফলে গর্ভধারণে সমস্যা হয়।

৩) নিয়মিত ধূমপানের অভ্যাস কিন্তু বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ায়। এই অভ্যাস ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা কমায়, ডিম্বাণুর ক্ষতি করে। কেবল মহিলাদের ক্ষেত্রেই নয়, ধূমপানের অভ্যাস পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণমানের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। মদ্যপানও এ ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে শরীরে।

৪) নিয়মিত গর্ভ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খাচ্ছিলেন? তা হলে মনে রাখবেন, ওষুধ বন্ধ করে দেওয়ার পরও শরীরের স্বাভাবিক ঋতুচক্র ফিরতে বেশ কিছু দিন সময় লাগে। তাই আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন। যে সময়ে পরিবারে নতুন সদস্য আনার কথা ভাবছেন, তার বেশ কিছু মাস আগে থেকেই এই ধরনের ওষুধ বন্ধ করা প্রয়োজন।

৫) সন্তানধারণের পরিকল্পনা করলে কী ভাবে সঙ্গমে লিপ্ত হচ্ছেন, সে দিকটাও গুরপত্বপূর্ণ। মিলনের ভঙ্গিমা নিয়ে নানা রকম পরীক্ষানিরীক্ষা করতে ভালবাসেন? এই সময়টি সে সব না করাই ভাল। কী ভাবে সঙ্গমে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে, তার পরামর্শ নিতে পারেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে।

আরও পড়ুন
Advertisement