শীতকালে অনেকেই নানা ধরনের তরকারি তৈরি করেন ব্রকলি দিয়ে। —ফাইল চিত্র
শীত এসে গিয়েছে। সঙ্গে হাজির শীতের নানা রকম সব্জিও। আগে খুব একটা প্রচলন না থাকলেও এখন কিন্তু শীত এলেই বাজারে চলে আসে তাজা ব্রকলি। উৎপত্তিগত ভাবে একেবারেই ভারতীয় না হলেও গত কয়েক দশক ধরে ভারতের নানা জায়গায় এর পুরোদস্তুর চাষ হচ্ছে। শীতকালে এখন অনেকেই নানা ধরনের তরকারি তৈরি করেন ব্রকলি দিয়ে। স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দিক থেকেও ফুলকপির এই তুতোভাইটির কিন্তু গুণ অনেক।
১। ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। অন্য বহু সব্জির তুলনায় এর ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। তা ছাড়া ফাইবার ধীরে পাচিত হয়। তাই দীর্ঘ ক্ষণ পেতে থাকে। খিদেও কম পায়। ফলে যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁরা নিয়মিত ব্রকলি খেতে পারেন।
২। ব্রকলিতে ভিটামিনের মাত্রাও অনেকটাই বেশি। সবচেয়ে বেশি মাত্রায় থাকে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতকালে নিয়মিত ব্রকলির খেলে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা কমতে পারে।
৩। যাঁদের দেহে আয়রনের ঘাটতি আছে, তাঁদের জন্যেও উপকারী হতে পারে ব্রকলি। রক্তাল্পতা দেখা দিলে শরীর দুর্বল লাগতে পারে, হতে পারে শ্বাসকষ্ট। ব্রকলি এই সমস্যাও কমিয়ে দিতে পারে। আয়রনে ভরপুর ব্রকলি রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।
৪। হার্টের সমস্যাতেও বেশ উপকারী ব্রকলি। এই সব্জিতে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। এই মৌলটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে পটাশিয়াম।
৫। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা বলছে, ব্রকলির ক্যানসাররোধী গুণ রয়েছে। বিশেষ করে ব্রকলির চারা মস্তিষ্কের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও হাড় মজবুত করা থেকে শুরু করে ত্বকের যত্ন— গুণের শেষ নেই ব্রকলির।