Aerophagia

হাঁ করে থাকার অভ্যাস? হাওয়া খাওয়াও কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক! কী হয় জানান?

অনেকেই মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার জন্য কিংবা আরও অন্যান্য কারণে বেশি হাওয়া খেয়ে ফেলেন। এই সমস্যা আপনারও হয় কী? এর পোশাকি নাম অ্যারোফেজিয়া।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:৩৬
শরীরে বেশি হাওয়া ঢুকে যাওয়ার কারণ কিন্তু আপনার কথা বলা, খাওয়া ও পানীয় পান করার মতো অভ্যাস।

শরীরে বেশি হাওয়া ঢুকে যাওয়ার কারণ কিন্তু আপনার কথা বলা, খাওয়া ও পানীয় পান করার মতো অভ্যাস। ছবি: শাটারস্টক

ছোটবেলায় মা-ঠাকুমাদের কাছে ধমক খেয়েছি কম বেশি আমরা সবাই। ‘অত হাঁ করে থাকিস না, মুখে বাতাস ঢুকে যাবে!’ এই বকুনিও অনেকেরই শোনা। এ কথাটা কখনওই বোধগম্য হত না? এমনিতেই কথা বলার সময়, খাওয়ার সময়, এমনকি হাসার সময়ও আমরা অনেকটা বাতাস খেয়ে ফেলি! কিন্তু অনেকেই মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার জন্য কিংবা আরও অন্যান্য কারণে বেশি হাওয়া খেয়ে ফেলেন। এই সমস্যা আপনারও হয় কী? এর পোশাকি নাম অ্যারোফেজিয়া।

কী কী সমস্যা হতে পারে?

Advertisement

আমরা প্রতি দিন স্বাভাবিক ভাবেই বেশ খানিকটা হাওয়া গিলে ফেলি। যদিও তার অর্ধেকটাই বেরিয়ে যায় ঢেঁকুড়ের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু যাঁদের অ্যারোফেজিয়া আছে তাদের একাধিক সমস্যা দেখা যায়। যেমন ঘন ঘন ঢেঁকুড় তোলা, পেট ফাঁপা, তলপেটে ব্যথা।

কেন এই সমস্যা হয়?

১) শরীরে বেশি হাওয়া ঢুকে যাওয়ার কারণ কিন্তু আপনার কথা বলা, খাওয়া ও পানীয় পান করার মতো অভ্যাস। খেতে খেতে কথা বলা, চুয়িং গাম খাওয়া, স্ট্র দিয়ে পানীয় পান করা, ধূমপান করার কারণেই মূলত এই সমস্যা হয়। তবে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস থাকলেও এরকম হতে পারে।

২) নাক ডাকার অভ্যাস থেকেও হতে পারে অ্যারোফাজিয়া। এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতার জন্য নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে থাকলেও তা থেকে অ্যারোফেজিয়া হতে পারে।

অ্যারোফেজিয়ায় আক্রান্ত হলে সারা ক্ষণ পেট ভার, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া, বদহজমের মতো সমস্যা হয়।

অ্যারোফেজিয়ায় আক্রান্ত হলে সারা ক্ষণ পেট ভার, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া, বদহজমের মতো সমস্যা হয়। ছবি: শাটারস্টক।

৩) আপনার কি অতিরিক্তি উদ্বেগের প্রবণতা রয়েছে? কারণ বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে মানসিক উদ্বেগ ও অ্যারোফেজিয়ার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

অ্যারোফেজিয়ায় আক্রান্ত হলে সারা ক্ষণ পেট ভার, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া, বদহজমের মতো সমস্যা হয়। এই রোগের নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই। সতর্ক থাকাই একমাত্র সমাধান।

Advertisement
আরও পড়ুন