বেগুন খেতে ভালবাসেন অনেকেই। ছবি: সংগৃহীত
জাঁকিয়ে না পড়লেও শীতের আমেজ শহর জুড়ে। শীতকালে নানা ধরনের সব্জি ওঠে বাজারে। সেগুলি থেকে সুস্বাদু সব পদ তৈরি করেন অনেকে। শীতের রাতে গরম গরম রুটির সঙ্গে বেগুনপোড়া জমে যায় একেবারে। বেগুন খেতে ভালবাসেন অনেকেই। বেগুন বাহার হোক কিংবা বেগুন দিয়ে পাতলা মাছের ঝোল— পাতে বেগুন থাকলে বাঙালি আর কিছু চায় না। বেগুন স্বাদের খেয়াল রাখে ঠিকই। তেমনই বেশি বেগুন খেলে শরীরে নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
বেগুনের ফলে কী কী প্রভাব পড়তে শরীরে?
১) যাঁরা অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্য বেগুন মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে বেগুন না খাওয়াই ভাল। অতিরিক্ত বেগুন খাওয়ার অভ্যাস সংক্রমণ বাড়িয়ে তোলে।
২) বেগুনে আছে অতিরিক্ত পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় পটাশিয়ামের প্রায় ২৯ শতাংশ পাওয়া যায় ৪৫৮ গ্রাম বেগুনে। তবে অত্যধিক হারে বেগুন খেলে বমি-বমি ভাব বা বমির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩) বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট। শরীরে অতিমাত্রায় অক্সালেট প্রবেশ করার ফলে পিত্তাশয়ে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বেগুন শরীরের যত্ন নেয় কী ভাবে?
১) ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ বেগুন চোখের জন্য খুবই উপকারী। চোখের যাবতীয় সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে বেগুন। এবং দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বাড়াতেও বেগুনের জুড়ি মেলা ভার।
২) বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং কে। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না এই দু’টি ভিটামিন। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা রোজের পাতে রাখতে পারেন বেগুন। রক্ত চলাচল সচল রাখে এই সব্জি। রক্ত জমাট বাঁধতেও পারে না।
৩) বেগুনে আছে ডায়েটারি ফাইবার। যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। হজমের সমস্যা থাকলে বেগুন রাখতে পারেন রোজের পাতে। উপকার পাবেন।
৪) যাঁদের কোলেস্টেরল আছে তাঁদের জন্য বেগুন উপকারী। কারণ বেগুন ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে শরীর সুস্থ রাখে। ভাল কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়ায় বেগুন।