ফুসফুসে কোনও রোগ বাসা বাঁধছে কি? ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছর সর্দিকাশি লেগেই থাকে। ধূমপান করেন যাঁরা, অনেক সময়েই তাঁদের খুসখুসে কাশি হয়। ‘স্মোকার্স কাফ’ বলে কেউ কেউ হালকা ভাবে নেন এই বিষয়টিকে। মরসুম বদলের সময়ে অনেকেরই সর্দিকাশির সমস্যা দেখা যায়। বুকে-পিঠে ব্যথাও হয়। কাশতে গেলেও এই ব্যথা টের পান অনেকে। কয়েক দিনের অস্বস্তি সহ্য করে ফেলতে পারলেই আর তেমন কষ্ট হবে না, এই ভেবে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না বহু মানুষ। বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়তে থাকলেও নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। হঠাৎ করে ওজন কমতে থাকে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সময়ে বাড়িতে বসে শুধু প্রাণায়াম করলে কিন্তু খুব একটা ফল মিলবে না। তার আগে ফুসফুসের পরীক্ষা করাতে হবে। কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবে?
১) দু’সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলে
সাধারণ সর্দিকাশি এক সপ্তাহের বেশি থাকার কথা নয়। তবে কোনও ভাবে কাশি যদি সপ্তাহ দুয়েক স্থায়ী হয়, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুসের ক্যানসার কিংবা ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগ নির্ণয় করা জরুরি।
২) শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হলে
দৌড়নোর অভ্যাস না থাকলে বুকে কষ্ট হতে পারে। তবে তেমন পরিশ্রম না করেই যদি শ্বাসকষ্ট হয়, সে ক্ষেত্রে ফুসফুস পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভাল। সময় থাকতে ধরা পড়লে অ্যাজ়মা, পালমোনারি ফাইব্রোসিসের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
৩) বুকে বা ফুসফুস সংলগ্ন অঞ্চলে ব্যথা
হার্টের সমস্যা থেকে বুকে ব্যথা হচ্ছে, না কি অন্য কোনও কারণে, তা জানার জন্যেও চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। বুকে বা পাঁজরের হাড়ে ব্যথা হলে, ভারী কিছু তুলতে গেলে বুকে চাপ লাগলে কিংবা কাশির সঙ্গে রক্ত পড়লেও সাবধান হওয়া জরুরি।