শরীরে অন্য প্রাণের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই জীবনযাপনে বদল আনা জরুরি। প্রতীকী ছবি।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বাইরের প্রক্রিয়াজাত এবং ভাজাভুজি খাবার খাওয়ার প্রবণতা গর্ভস্থ সন্তানের স্থূলতার ঝুঁকি বাড়তে পারে। তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে সাম্প্রতিকতম একটি সমীক্ষা। মা হওয়ার আগে শরীরের বাহ্যিক পরিবর্তনের পাশাপাশি স্বাদেও একটা বদল আসে। এই সময় বাইরের টুকটাক খাবার খাওয়ার প্রতি একটু ঝোঁক বাড়ে। চিকিৎসকরা এই ধরনের ইচ্ছার পায়ে বেড়ি পরাতে বলছেন। প্যাকেটজাত যেকোনও খাবার এই সময় শরীরের জন্য একেবারে ভাল নয়। শুধু খাবার নয়, প্রক্রিয়াজাত পানীয়ও শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। এই খাবারগুলি শুধু মায়ের নয়, শরীরের মধ্যে যে ভ্রুণ বেড়ে উঠছে তার উপরেও প্রভাব ফেলে। এতে শিশুর ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে।
‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’-এর তথ্য অনুসারে, অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন বাইরের তেল-মশলাদার কোনও খাবার না খাওয়াই ভাল। পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা মেনে খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ২০২০ সালে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সমীক্ষা বলছে, সারা বিশ্বে প্রায় ৩ লক্ষ ৯০ হাজার শিশু হৃদ্রোগ, ডায়াবিটিস, ক্যানসারের মতো কঠিন রোগে ভুগছে।
শরীরে অন্য প্রাণের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই জীবনযাপনে বদল আনা জরুরি। গর্ভস্থ সন্তানের যত্ন নেওয়া সহজ নয়। অনেক নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। নিয়ম করে ওষুধ খাওয়া থেকে রোজের খাওয়াদাওয়া—সবটাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে করা জরুরি। এই সময় শিশুর সার্বিক বিকাশের জন্য বেশি করে সবুজ শাকসব্জি খাওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। পুষ্টিকর খাবার রোজের পাতে রাখতেই হবে। পাশাপাশি বন্ধ করতে হবে বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাসও। নয়তো সমস্যা বা়ড়বে বই কমবে না। এ ছাড়াও মায়ের ‘বডি মাস ইনডেক্স’ বেশি হলে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অঙ্গসঞ্চালন কম হলে, ধূমপান করলে— এ সবের প্রভাব পড়ে শিশুর শরীরে। তাই সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই সব বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এতে মা এবং শিশু দু’জনেই সুস্থ থাকবে ।