গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকে দূরে থাকুন। ছবি: সংগৃহীত।
বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হল হজমের সমস্যা। চলতে-ফিরতে, বসতে-ঘুমোতে এই সমস্যা যেন সর্বক্ষণের সঙ্গী। বাইরের খাবারের প্রতি একরাশ ভালবাসা গোলমাল ঠেকাতে অনেকে বিভিন্ন ওষুধ খান। এই ধরনের ওষুধ বেশি না খাওয়াই ভাল। শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। হিতে বিপরীত হয় অনেক সময়ে। বরং হজমের গোলমাল ঠেকাতে সকালের কিছু অভ্যাস করা জরুরি।
ভেজানো কাঠবাদাম খান
কাঠবাদাম শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ়, প্রোটিন, মিনারেলসের মতো উপাদান। প্রতিটি উপাদান শরীর ভিতর থেকে সুস্থ রাখে, হজমের গোলমাল কমায়। ড্রাই ফ্রুটস খান অনেকেই। তবে কাঠবাদাম সে ভাবে খেলে হবে না। হজমের সমস্যা ঠেকাতে কাঠবাদাম খেতে হবে ভিজিয়ে।
ঈষদুষ্ণ লেবুজল
ওজন ঝরাতে খালি পেটে লেবুজল খান অনেকেই। তবে এই পানীয় শুধু ওজন ঝরাতে উপকারী নয়। হজমের সমস্যা থেকে দূরে রাখতেও এর ভূমিকা অনেক। লেবুতে থাকা অ্যাসিড পেটে গ্যাস জমতে দেয় না। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায় লেবুজল। তাই নিয়ম করে খালি পেটে যদি খেতে পারেন এই পানীয়, তা হলে উপকার পাবেন।
শরীরচর্চা
সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। নিয়ম করে এই অভ্যাস করলে অনেক রোগবালাই থেকে দূরে থাকা যায়। হজমের সমস্যাও কমে। তবে কী ধরনের শরীরচর্চা করলে তবেই এই উপকার পাওয়া যায়, তা জেনে নেওয়া জরুরি। স্ট্রেচিং করতে পারেন কিংবা যোগাসন। তবে জিম করার প্রয়োজনীয়তা নেই।
শেষে যেটা বলার, তার হল সকালের জলখাবারের আগে, যখন পর্যন্ত পেট খালি, সেই অবস্থায় এক গেলাস ইসবগুলের ভুসি, এক চিমটে হলুদ এবং এক থেকে দেড় চামচ ছাতু একসঙ্গে জলে গুলে পান করুন। ভুলেও নুন, লেবুর রস বা চিনি মেশাবেন না।
এই কয়েকটি টোটকা যদি নিয়ম করে প্রতিদিন অভ্যাস করতে পারেন, তাহলে হজমের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য যদি থাকে, আপনার ধারেকাছেও কোনোদিন ঘেঁষবে না।