গবেষণায় বলা হয়েছে, মানসিক অবসাদ হৃদ্যন্ত্রে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। ছবি: সংগৃহীত।
অল্পবয়সিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা সম্প্রতি বেশ ভয় ধরাচ্ছে। অনেকেরই মত, এই প্রজন্ম অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তার জেরেই বাড়ছে হৃদ্যন্ত্রের জটিলতা। হালের গবেষণাও তেমনই ইঙ্গিত করছে। ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে মানসিক অবসাদ।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ, অনিদ্রা বা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা হৃদ্যন্ত্র, তার সঙ্গে যুক্ত শিরা-উপশিরা এবং ধমনীর উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ মানুষের উপর করা সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, মানসিক ভাবে সুস্থদের তুলনায় মানসিক অবসাদগ্রস্তদের মধ্যে তাই হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা ৫৮ শতাংশ বেশি। স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন ৪২ শতাংশ।
গবেষক ইউ-কেন চৈ-এর মতে, “কমবয়সিদের মধ্যে মানসিক অবসাদ এবং উদ্বেগ খুবই সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মানসিক সমস্যার সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যের যোগ রয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে না পারলে এই সমস্যার মোকাবিলা করা একেবারেই সম্ভব নয়।”