মায়ের পিসিওএস ছেলের স্থূলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ছবি: সংগৃহীত।
মা ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’ বা পিসিওসে আক্রান্ত হলে তাঁর ছেলের স্থূলতার শিকার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। গবেষণাটি করেছিলেন সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
হরমোনের তারতম্যের হাত ধরেই পিসিওএসের ঝুঁকি বাড়ে। সাধারণ একটি বয়স অতিক্রম করার পরে ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসেই ডিম নির্গত হয়। নিষেক না ঘটলে সেই ডিম দেহ থেকে বার হয়ে যায় রক্তের মাধ্যমে। চিকিৎসকের মতে, দু’টি ঋতুচক্রের মাঝে একটি ডিম্বাণু এসে হাজির হয় জরায়ুতে। কিন্তু ডিম্বাশয়ে সিস্ট থাকলে ডিম্বাণু সম্পূর্ণ হতে পারে না ও ডিম্বাশয় ছাড়িয়ে জরায়ুর দিকে এগোতেও পারে না। এ দিকে, শুক্রাণু নিষিক্ত হওয়ার জন্য এসে পড়লেও তার উপযুক্ত ডিম সিস্টের ভিড়ে খুঁজেই পায় না। ফলে একটা সময়ের পর বিনষ্ট হয়ে যায়। অনেক সিস্ট ডিম্বাশয়ের উপর জমলে এই অসুখ বেশি করে দেখা যায়। পিসিওএসে আক্রান্ত মহিলাদের ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বেশি।
২০০৬ থেকে ২০১৫-এর মধ্যে সুইডেনে ৪৬৭,২৭৫ জন ছেলে শিশুর জন্ম হয়েছিল। এর মধ্যে ৯,৮২৮ জন শিশুর মা পিসিওএসে আক্রান্ত ছিলেন। এই মোট সংখ্যার মধ্যে ১৪৭ জন শিশু স্থূলতার শিকার হয়।
শুধু পিসিওএস নয়, যে সব মায়ের বিএমআই ২৫-এর বেশি, তাঁদের পুত্রসন্তানদের ক্ষেত্রেও এই স্থূলতার ঝুঁকি বেশি। মায়ের পিসিওএস থাকলে স্থূলতার পাশাপাশি পুরুষ শিশুটির মধ্যে কোলেস্টেরল এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ে।
২০১৯ সালে একই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, পিসিওএসে আক্রান্ত মহিলাদের কন্যাসন্তানের শরীরে এই ধরনের রোগ বাসা বাঁধার আশঙ্কা অনেক কম। ছেলেদের মধ্যেই নানা ধরনের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা হতে পারে।