মাশরুমের উপকারিতা। ছবি- সংগৃহীত
যাঁরা মাছ-মাংস খেতে পছন্দ করেন না, তাঁদের ছত্রাক খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। ইদানীং আবার ভিগান ডায়েটেরও চল হয়েছে। প্রাণীজ কোনও খাবারই ভিগানরা খান না। কিন্তু নিরামিষ খাবারে কি পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়? মাংসের মতোই খেতে এই মাশরুম বাঙালির হেঁশেলে ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাশরুমে যে পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়, তা বিভিন্ন ডাল বা শাকসব্জির চেয়ে অনেকটাই বেশি। এ ছাড়াও মাশরুমে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার। যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষায় সাহায্য করে। মাশরুমে রয়েছে বিটা গ্লুকান নামক এক ধরনের ফাইবার, যা কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করে এবং হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
এই বিটা গ্লুকান ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। কমায় টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।
মাশরুমে থাকে একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট।ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তা শরীরকে রক্ষা করে। ফ্রি র্যাডিক্যাল অনেক সময় হৃদ্রোগ আর ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরে তার মাত্রা কমানো জরুরি।
মাশরুমে রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। রাইবোফ্লাভিন লোহিত রক্তকণিকার স্বাস্থ্যরক্ষা করে, নিয়াসিন পাচনতন্ত্র ভাল রাখে আর প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড যত্ন নেয় স্নায়ুতন্ত্রের।