স্বাস্থ্যকর খাবারটি কার সঙ্গে জুটি বেঁধে শরীরে প্রবেশ করছে, সেটা খেয়াল রাখা দরকার। প্রতীকী ছবি।
শরীরের খেয়াল রাখতে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার বিকল্প নেই। ওজন কমানো কিংবা ফিট থাকা— সবেতেই খাওয়াদাওয়ার উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়। পুষ্টিবিদরাও ফিট থাকতে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমানোর কথা বলেন। রোজের পাতে সবুজ শাকসব্জি রাখার কথাও বলে থাকেন। কিন্তু জানেন কি এই শাকসব্জি খেয়েও হতে পারে নানা সমস্যা। শাকসব্জি খাচ্ছেন, ভাল কথা। কিন্তু সঙ্গে আর কী খাচ্ছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। শাকসব্জি নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। তবে সেই স্বাস্থ্যকর খাবারটি কার সঙ্গে জুটি বেঁধে শরীরে প্রবেশ করছে, সেটা খেয়াল রাখা দরকার। তা হলে বেশি উপকার পাবেন। রইল এমন কয়েকটি স্বাস্থ্যকর খাবারের জুটির খোঁজ।
বিন্স এবং ভাত
ফ্রায়েড রাইসের অন্যতম একটি উপকরণ হল বিনস্। এই সব্জিতে প্রোটিনের পরিমাণও অনেক। কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, বিনসের সঙ্গে ভাত খাওয়ার এই অভ্যাস দারুণ উপকারী। বিনসে রয়েছে স্বাস্থ্যকর অ্যামাইনো অ্যাসিড। ভাতেও রয়েছে এই অ্যাসিড। ফলে দুটো খাবার একসঙ্গে গেলে দারুণ উপকার পাবেন।
সবুজ শাকসব্জি এবং টম্যাটো
শীতকালে পালং শাক, পুঁইশাকে বাজার ছেঁয়ে যায়। শাকে রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইবারের মতো স্বাস্থ্যকর সব উপাদান। শাক রান্নার সময় দিতে পারেন এক টুকরো টম্যাটো। এই সব্জিতে থাকা নানা রকম উপাদান শাকের স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলির সঙ্গে মিশে শরীরে নানা সমস্যার চটজলদি সমাধান করে।
ডিম এবং চিজ
ডিমের স্বাস্থ্যগুণ বলা বাহুল্য। দাঁতের যত্ন নেওয়া থেকে শুরু হাড় শক্তিশালী করা, সবেতেই ডিম এবং দুধের জুটি অনবদ্য। ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ ডিম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডিমের সঙ্গে দুগ্ধজাত খাবার বলে অনেকেই চিজ খেতে চান না। এই ধারণা ভুল। ডিমের সঙ্গে শুধু চিজ কেন, অন্যান্য দুগ্ধজাতীয় খাবারও খেতে পারেন। কোনও সমস্যা হবে না। উল্টে বাড়তি উপকার পাবেন।