বাড়িতে থেকেও কি স্বস্তিতে থাকবে শিশুরা? ছবি: শাটারস্টক
রাজ্য জুড়ে চড়ছে পারদ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে যাচ্ছে। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ ছোট থেকে বড় সকলেই। এরই মাঝে শিশুদের খানিক স্বস্তি দিতে স্কুলে ১ সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তবে খুদে বাড়িতে থাকবে বলেই যে এই গরমে সে সুস্থ থাকবে, এমনটাও নয়। এই গরমে অত্যধিক ঘাম, বমি বা ডায়েরিয়ার মতো রোগ হলে শিশু শরীর থেকে বেশি পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। তখন নানা ভাবে শরীর জানান দেয় যে, ডিহাইড্রেশনে হচ্ছে। গরমে শিশুদের খাবার হজম করতেও অসুবিধা হয়। তারা পেটের নানা প্রকার সংক্রমণে ভোগে। পেটের সংক্রমণ থেকে বমি ও ডায়েরিয়া শুরু হয়। ফলস্বরূপ শরীরে জল এবং প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট, যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইডের ঘাটতি হয়। তাই বাড়িতেও কিন্তু যত্নে রাখতে হবে শিশুকে। কী ভাবে নেবেন শিশুর যত্ন?
১) বাড়িতে থাকলেই শিশুরা নানা ধরনের খাবারের বায়না করে। সাদামাঠা খাবারে তাদের মন ভরে না। মোবাইলে অ্যাপ খুলেই চলে দেদার খাবার অর্ডার করা। পিৎজ়া, বার্গার, বিরিয়ানি আরও কত কী! এই গরমে খুব বেশি বাইরের খাবার শিশুদের না খেতে দেওয়াই ভাল। বাড়িতেই রান্না করে দিন তাকে। তবে খুব বেশি তেলমশলা দেবেন না। ভাজাভুজি নয়, বরং কবাব, চাট বানিয়ে খাওয়াতে পারেন খুদেদের।
২) গরমে শিশুরা জল না খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। শত বললেও তারা জল খেতে চায় না। এই গরমে ফ্রিজে বিভিন্ন রকম পানীয় বানিয়ে রাখতে পারেন। তরমুজের কুলার, গন্ধরাজ ঘোল, লেমন মহিতোর মতো পানীয় তাদের বেশ প্রিয়। তাই জল না খেলে এই ভাবে তাদের শরীরে জলের চাহিদা পূরণ করতে হবে।
৩) শিশুর শরীর সুস্থ রাখতে খেলাও জরুরি। তবে খুব বেশি রোদে যেন সে বাড়ির বাইরে না বেরোয়, সে দিকে খেয়াল রাখুন। সন্ধের দিকে তাকে পার্কে নিয়ে যেতে পারেন। সেখানেও কিন্তু জল কিংবা গ্লুকোজ সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না।
৪) এই সময়ে শিশুরা যেন সুতির পোশাক পরে, তা নিশ্চিত করতে হবে। বাড়িতেও শিশুদের হালকা রঙের পোশাক পরান। প্রয়োজনে এসির মধ্যেই রাখুন তাকে। শিশু অত্যধিক ঘামলে সেই ঘাম শরীরে বসে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন।
৫) এই সময়ে শিশু দিনে এক বার ভাল করে স্নান করলেও দুপুর আর বিকেলের দিকে গা স্পঞ্জ করিয়ে দিতে পারেন। শিশু রোদ থেকে এলে সঙ্গে সঙ্গে স্নানে পাঠাবেন না কিংবা ঠান্ডা জল দেবেন না। মিনিট দশেক জিরিয়ে নিলে তবেই জল দিন, স্নানে করতে বলুন।